বিনোদনের বহু বিকল্প থাকা সত্ত্বেও আপনি নবীন এক লেখকের নগণ্য এক বই হাতে নিয়েছে- শুধু এ কারণেই একটি বিশাল ধন্যবাদ প্রাপ্য আপনার। সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ আপনাকে। দুনিয়াতে সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা আছে এবং থাকবে। কিন্তু তাই বলে দুঃখ-বেদনা নিয়ে পড়ে থেকে সুখ-সাচ্ছন্দ্য-উল্লাস-আনন্দকে ভুলে যাওয়া কোনো কাজের কথা নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই দেখা যায় কিছু মানুষ প্রতিনিয়ত যেন নেতিবাচকতার চাষ করে যাচ্ছেন। যেমন- “জীবনে বড়ো আঘাতটা আসে কাছের মানুষের কাছ থেকেই।” কিংবা “নিজেকে যাদের প্রিয়জন ভেবেছিলাম, তারা আমাকে আসলে প্রিয়জন বানানয়নি; আমি ছিলাম তাদের প্রয়োজন।” এসব নেতিবাচক চিন্তাভাবনা মানুষকে হতাশ ও হতোদ্যম করে দেয়। এক পর্যায়ে নিজেও নেতিবাচক মানসিকতা লালন করতে শুরু করে। ঐ যে, গৌতম বুদ্ধের সেই কথা- "ডযধঃ ুড়ঁ ঃযরহশ, ুড়ঁ নবপড়সব" (তুমি যা ভাবো তুমি তাই হও)। নিজেকে সদাসর্বদা ইতিবাচক মানুষ হিসেবে ভাবতে অভ্যস্ত লেখক তাই জীবনের ইতিবাচক দিকটাই দেখেন এবং তা এই বইয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। সেজন্যই নির্বেদ আর নৈরাশ্যের বিপক্ষে তার সুস্পষ্ট অবস্থান। লেখক তার পরিবেশ-প্রতিবেশ-চারিপাশে যা কিছু দেখেছেন, শুনেছেন, বুঝেছেন কিংবা বুঝেননি সেসব বিষয়ে নিজের মনের কথা লিখে গিয়েছেন। লেখার বিষয়বস্তু ‘গেলেও বিচিত্র পথে, হয়নি সে সর্বত্রগামী’। লেখক লিখেছেন মনের আনন্দেই। কিন্তু প্রকাশকের ধারণা- কেউ এ বইয়ের কোনো লেখা পড়া শুরু করলে শেষ না করে থামবে না। শুধু তাই নয়; পরবর্তী লেখা পড়তে শুরু করবে এবং এক পর্যায়ে বইটি শেষ করে একই লেখকের অন্য লেখা খুঁজবে; এমনকি পরবর্তী বইয়ের জন্য অপেক্ষা করবে। প্রকাশকের ধারণার উপর আস্থা থাকলেও আপনিও পড়া শুরু করে দিতে পারেন পঞ্চাশোর্ধে বয়সি নবীন লেখকের প্রথম গ্রন্থ নহে নির্বেদ নৈরাশ্য।