“এ তুমি কেমন তুমি?” আমি লিখেছিলাম খুবই হালকা মুডে। লিখতে লিখেতে খেয়াল করলাম গল্পটা গভীর থেকে গভীরতম হতে শুরু করেছে। সোজাসাপ্টা একটা প্রেমের গল্প লিখতে গিয়ে কেমন যেন জটিল হয়ে যাচ্ছে। লেখকের লেখা কখনও নিয়ন্ত্রণ করতে নেই আমিও করলাম না। এ বছর আমার জীবনে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আমার একমাত্র কন্যা ইরাবতী উচ্চশিক্ষার জন্য আমাকে ফেলে সাত সমুদ্র তের নদীর পারে চলে যায়। কি হাস্যকর আমাকে তো ফেলেই যাবে এটাই স্বাভাবিক সে নিশ্চই আমাকে বগলদাবা করে সবখানে নিয়ে ঘুরতে পারবে না। আমি ভেবেছিলাম সে চলে যাবার পর রাজ্যের কাজ করতে নেমে পরব। বেশ কিছু প্রজেক্ট প্ল্যান ছিল কিন্তু আমার শরীর মন দুই বদ জিনিষই বাঁধ সাধলো। আমার কাজের গতি কমে গেল। সারাক্ষণ মিউমিউ করে কন্যার কথা ভাবি। এই আমিটাকে আমি একদম চিনি না। আমি ভীষণ শক্ত মানুষ। সেই আদিযুগ থেকেই আমি নানা কিছু মোকাবেলা করেই আজকের দিনে বেঁচে আছি। অথচ কন্যা বিচ্ছেদ আমাকে কেমন যেন পোতানো বেলুনের মতো নেতিয়ে দিল। দেখা যাক কতদিন এমন পোতানো থাকবো। তবে খুব একটা খারাপ লাগছে না। মাঝে মাঝে ভাবলেশহীন জীবন কাটাতেও আনন্দ আছে। কি বলেন?
আদনীন কুয়াশার জন্ম ঢাকায়। বাবার চাকুরীর সুবাদে ঘুরে বেরিয়েছে দেশের নানান জেলায়,শৈশবের বেশ লম্বা সময় কেটেছে চট্টগ্রামে, তার পুরো নাম রুদাবা আদনীন, ছোটবেলা থেকে শিল্প-সংস্কৃতি চর্চার সঙ্গে জড়িত। বিটিভির নতুন কুঁডি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। বই পড়ার অভ্যাস থেকেই সাহিত্য চর্চার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। শুরুতে কবিতা লিখতেন। এখন গল্পলিখেন। ফেসবুকে নানান গ্রুপে নিজের লেখা গল্পগুলো পোস্ট করে বেশ আলোচিত হোন এবং পরবর্তিতে ছাপার অক্ষরে নিজের আত্মপ্রকাশ ঘটান। স্বামী নাসিরুদ্দীন রেহান, একমাত্র কন্যা রুদমিলা আদনীন আর একমাত্র বোন রুবাবা আদনীন মুমু কেনিয়ে লেখকের আপন ভুবন।