ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা সজল, কাজল, অনল তিন ভাই। খুব মিল ওদের মধ্যে। এই ভাব, এই ঝগড়া। স্কুলের ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা শেষে সজলরা বেড়াতে যাবার পরিকল্পনা করে। কোথায় যাবে ঠিক করতে পারে না। একে একে ওদের সব আত্মীয় বাড়ি নিয়ে আলোচনা হয়। শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়, মামাবাড়ি যাবে ওরা। সজলদের তিন মামা মনু মিয়া, ধনু মিয়া ও মন্টু মিয়া খুব মাজার মানুষ। বিচিত্র তাদের ব্যবসা। ছোটমামা মন্টু মিয়ার বন্ধু ঠাণ্ডু মিয়া আরেক মজার মানুষ। এইসব মজার মানুষের ভিন্ন সব ব্যবসা নিয়েই বইয়ের কাহিনী। খেলাধুলা, বেড়ানো আর গল্পে সময় কাটতে থাকে। ভয়ংকর সব ভূতের গল্পের আসর বসে। হাসি-গল্প-খেলায় শেষ হয় ওদের পরীক্ষাশেষের দিনগুলো। এবার ফেরার পালা। মজার এবং হাসির এই কিশোর উপন্যাসটি সবার ভালো লাগবে। ভূমিকা বন্ধুরা, আমার বাবা সৈয়দ মাজহারুল পারভেজ-এর তোমাদের জন্য লেখা কিশোর উপন্যাস এবং গল্প নিশ্চয় তোমরা পড়েছ। সেগুলো আশাকরি তোমাদের ভালও লেগেছে। এবার তোমরা পড়বে মামাবাড়ির মজার কাণ্ড। এটি একটি কিশোর উপন্যাসে মজাদার হাসির এ কিশোর উপন্যাসখানাও আশা করছি তোমাদের ভাল লাগবে। এই উপন্যাসের পটভূমি, কাহিনী বিন্যাস এবং পরিবেশনা সব মিলিয়ে যথেষ্ট উপভোগ্য হয়েছে বলা যায়। প্রচুর হাসির রসদ রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের আবহ ঘিরে রয়েছে গোটা বই জুড়ে। তারপরও বাবা এটাকে মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস বলতে রাজি নন। বাবা বলেন, মুক্তিযদ্ধ অনেক বড় ঘটনা। বাঙালি জাতির জীবনের সবচে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে স্বাধীনতা। সেই স্বাধীনতার পুরো ভাগে ছিল মুক্তিযুদ্ধ। সে মুক্তিযুদ্ধকে তুলে ধরতে দরকার আরো বড় আয়োজন। বইখানা লিখতে বাবাকে অনেকের সহযোগিতা নিতে হয়েছে। আমরা ক্ষুদেরাও কম যাইনি। টুকরো টুকরো সহযোগিতা আমাদেরও ছিল। আমি, আমার বোন ঋতি, মামাতো ও খালাতো ভাই-বোন রাফি ভাইয়া, নেহা আপু, জাহীন, অর্নব, মাহী ও শাফিনের কথা বলতেই হয়। আমার মা অধ্যাপিকা শাহানা পারভীন লাভলীর অবদানও ছিল অনেকখানি। আশা করি বইখানা তোমাদের ভাল লাগবে। আর ভাল লাগলে আমার বাবার শ্রম সার্থক হবে। ভাল থেকো সবাই। সৈয়দা আয়েশা শাহরিনা ঋদ্ধি
দুই বাংলার পাঠকপ্রিয় কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মাজহারুল পারভেজ। লেখেন উপন্যাস, কিশাের উপন্যাস, শিশুতােষ বই, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক, কবিতা ও খেলার বই।। অনুবাদ ও সম্পাদনাতেও রয়েছে দক্ষতা। অনুবাদ ও। সম্পাদনা করেছেন পৃথিবীর বিখ্যাত কবিদের কবিতা ।। বলা যায়, সাহিত্যের সব শাখায় তার রয়েছে অবাধ। বিচরণ। লিখছেন আড়াই দশক ধরে। বাংলাদেশ ও। ভারতে প্রকাশিত তার বইয়ের সংখ্যা সব মিলিয়ে। দু’শতাধিক। ১৯৮৯ সালে লেখা শুরু। ১৯৯২ সালের একুশে বইমেলায় একসাথে ৬ খানা বই প্রকাশের মধ্যে দিয়ে লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। ১৯৯৫ সালে তিনি। প্রথম লেখক হিসেবে বাংলা একাডেমি বইমেলায় ‘একক বইয়ের স্টল’ করেন। যা তখন ব্যাপক প্রশংসিত হয়। এ বছরই তাঁর নেতৃত্বে গঠিত হয় “বাংলাদেশ লেখক। পরিষদ”। তিনি প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। দীর্ঘদিন। ক্রীড়ালেখক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন। ২০০৪ সালে অমরেশ বসু কলেজ সাহিত্য সম্মাননা, ২০১৪ সালে কলকাতার (পশ্চিম বাংলা, ভারতের) ইতিকথা সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন ও একই বছর। ক্রীড়ালেখক সমিতি আয়ােজিত ইন্টারন্যাশনাল স্পাের্টস প্রেস-ডে (এআইপিএস-ডে) সম্মাননায় ভূষিত হন। । ১৯৬২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মাগুরা জেলার পুখরিয়া। (আলােকদিয়া) গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পীর পরিবারে জন্ম ।। পিতা মরহুম সৈয়দ হাসান আলী, মা মরহুমা সৈয়দা। আয়েশা হাসান। ৯ ভাইবােনের সবার ছােট। ১৯৯৫ সালে তিনি বিয়ে করেন। স্ত্রী অধ্যাপক শাহানা পারভীন। লাভলী এবং দুই কন্যা আয়েশা ঋদ্ধি ও আয়েশা ঋতিকে। নিয়ে ঢাকার মিরপুরের সেনপাড়া পর্বতায় লেখকের। সুখের সংসার।