কিশোর জীবনে মৃত্যু নামে নিকৃষ্ঠ পরিণতি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারল না গর্ব। শৈশব থেকেই বিভিন্ন অজানা রোগে ভুগে পরিশেষে হঠাৎ তার মূল্যহীন জীবনের অবসান ঘটল টং দোকানে। তবে তার ভাবনা সম্পূর্ণ ভুল হলো আবার নিজেকে জীবিত খুঁজে পেয়ে। পৃথিবীতে তার মৃত্যু হলেও এই বিশাল মহাকাশের কোনো এক অজানা জগতে নিজের সত্য পরিচয় খুঁজে পেল সে। খুঁজে পেল তার আপন জাতি দির্শ জাতিকে। সে জেনেছে, সে কখনো মানব ছিল না, বরং মানব ও দানবের সম্মিলিত জাতিই দির্শ। মানবের সাথে কিছু সময় পাড় করে জ্ঞান অর্জন করা দির্শদের জীবনের অংশ। কৈশোরের সময়টিতে তারা পুনরায় ফিরে আসে তাদের জগতে এবং পৃথিবীতে মৃত বলে পরিচিত হয়। বয়ঃসন্ধিকালীন মৃত্যুর পর শত শত বছর ঘুমের মাধ্যমে তারা খুঁজে পায় অলৌকিক ক্ষমতা। তবে ক্ষমতার ব্যবহারের মাধ্যমে জাগিয়ে তোলা হয় তাদের মাঝে থাকা দানবকে। ক্ষমতার অতি ব্যবহারের ফলে এরা মনুষ্যত্বের সবটা ভুলে গিয়ে পরিণত হয় সম্পূর্ণ দানবে। যাকে পরবর্তীতে দির্শ জাতিরাই হত্যা করে জগতে শান্তি ফিরিয়ে আনে। পৃথিবী হতে ফিরার পর প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা গ্রহণ করতে হয় তাদের নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে। সেখানে সকলের চাইতে অধিকতর ঘুমের অধিকারী হয়ে দানবত্বের ঠিক কোন পর্যায় যেতে চলেছে গর্ব? কেনই বা গভর্মেন্ট তাকে যোদ্ধা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও.অফ্.এফ্ এ পাঠায়? অতি ক্ষমতা ব্যবহারের ফলে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা দানবদের সাথে যুদ্ধে অংশ নিয়ে ঠিক কি জ্ঞান অর্জন করছে গর্ব ও তার বন্ধুরা? নিজ জাতিকে নিজ হাতে হত্যা করে তাদের বীর হিসেবে অভিহিত করা হলেও এই বীরেরা নিজেদের মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলার ভয়ে আক্রান্ত। যেখানে পৃথিবী থেকে ফেরার পর কোনো দির্শ পৃথিবীতে যাওয়ার অনুমতি পায় না। সেখানে পৃথিবীতে চলমান হাজার বছরের যুদ্ধে কেনই বা গর্ব ও তার যোদ্ধা দল অংশ নিচ্ছে? পৃথিবীর মানুষের হঠাৎ এমন করুণ মৃত্যুর কারণ কি? দানব ও মানবের মিশ্রণে তৈরি এই জাতি সত্যিই কি নিজের মনুষত্ব হারিয়ে ধ্বংস করবে পৃথিবীকে? তরুণ দির্শ যোদ্ধারা কি পারবে নিজের জাতি হতে পৃথিবীকে মুক্ত করতে? কনানী বাহিনী (মানবতা রক্ষার স্বার্থে তৈরি মানবের সৈন্য বাহিনী) এমন কি রহস্য লুকিয়ে রেখেছে হাজার বছর ধরে মানব বলির মাধ্যমে? কেন মানব অপেক্ষায় ছিল গর্বের? গর্ব কি পারবে মানব ও দির্শ সম্পর্কের মাঝে তার জন্মের রহস্য খুঁজে পেতে? পারবে তাদের শত্রুর খোঁজ করতে? পারবে কি সম্পূর্ণ দির্শ জাতির বিরূদ্ধে যুদ্ধ করে জয়লাভ করতে?
লামিয়া হান্নান স্নেহা। জন্ম: ৯.১১.২০০৬, ঢাকা। বাবা মোহাম্মদ হান্নান এবং মা ফাতেমা আক্তার রুনা। ২০২২ সালের এস.এস.সি পরীক্ষার্থী ছিলেন তিনি। বর্তমানে বিজ্ঞান শাখার কলেজ শিক্ষার্থী। লেখালিখি শুরু করেছেন তৃতীয় শ্রেণীতে থাকাকালীন। ছোট্ট বয়সের পাগলামি কখন যে তার ভবিষ্যত পরিকল্পনার সাথে যুক্ত হয়ে পড়ল, কেউ বুঝতেও পারল না। কেননা ছোট থেকেই তার লেখালিখির অভ্যাসটা ছিল সম্পূর্ণ গোপনে, যা তার বড় ভাই ব্যতীত কেউ জানত না। দশম শ্রেণীতে থাকাকালীন পড়ালেখায় ফাঁকি দিয়ে, বাবা-মা ও বন্ধু-বান্ধবদের অগোচরে লিখে ফেললেন বিশাল এক সাইন্স ফিকশন বই "ভিনগ্রহী"। সাহস নিয়ে সেই বইকে প্রকাশও করে ফেললেন ২০২২ সালের একুশে বইমেলায়। এভাবেই ২০২২ সালে প্রথম লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে স্নেহার। যদিও বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী এবং ফ্যান্টাসি নিয়েই তার প্রথম লেখা প্রকাশ হয়, তবুও বিভিন্ন জনরায় লিখালিখি করতে ভালোবাসেন তিনি। তারই ফলশ্রতিতে এবার লিখেছেন হরর থ্রিলার বই" অশরীরী"