ভালোবাসা কখনো পানির মতো স্বচ্ছ, আবার কখনও বা নোংরা পানির মতোই ঘোলা! কখনও আকাশের মতো বিশাল, আবার কখনও বা চারদেয়ালে বন্দি ছাদের মত সংকীর্ণ। ভালোবাসা সবার জীবনেই আসে। এই ভালোবাসা বালুচরের চোরাবালির মতন ঘাপটি মেরে থাকে। নয়তো প্রতিমার আগমনের মতো বিশাল আয়োজনে। হুট করেও আসে কখনও কখনও। আর প্রতিমারূপী সেই ভালোবাসাকে উপেক্ষা করা যায় না কোনকিছুর অজুহাতেই। ধর্ম, জাত, সমাজের ভেদাভেদ কোন বাধাই মানতে নারাজ। ভালোবাসা সত্যিই অদ্ভুত সুন্দর! গ্রামে আসা অচিন আগুন্তুকের প্রেমেও যে পড়া যায় সে কথা কী কখনও জানতো গাঙ পাড়ের সেই মায়াবতী, মায়া নন্দিনী? না সেই আগুন্তুক জানতো, শহরের চাকচিক্যের বাইরে গিয়ে ছোট্ট গ্রামীন জীবনে অপেক্ষা করছে তার জীবনের প্রেম উপাখ্যান? না, দুজনের কেউই জানতো না! হঠাৎই গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা গাঙের পানি উত্তাল হয়ে উঠল। নদ থেকে ছুটে আসা বন্যায় মূহুর্তেই ডুবে গেলো গাঙ, পানিতে থৈ থৈ গ্রাম, মাঠ, ঘাট। ক্ষেতে ফলানো শস্য, মাঠে চড়ানো গোরু, মহিষ ভেসে গেলো বেনোজলে। অনেকে হারাল তাদের ঘর, বাড়ি। কিন্তু সেই বন্যাই হয়ে উঠল কারো জীবনের আশীর্বাদ। সেই আশীর্বাদেই খুঁজে পেলো তারা ভালোবাসা। আকাশের মতো বিশাল, পানির মত স্বচ্চ ভালোবাসা!