কাহিনী সংক্ষেপ: উদয়ন টিভিতে এক ভিন্নধর্মী শো-এর পরিকল্পনা দিলেন জ্যেষ্ঠ প্রযোজক মানস মিত্র আর বরাবরের মতো তাতে বাধ সাধলেন তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী, উদয়নের সত্ত্বাধিকারী চৌধুরী গুলজারের একান্ত আস্থাভাজন, সানাৎ করিম। শুরু হলো ক্ষমতার দাপট। সানাৎ-এর সাথে যোগ দিলো উদয়নে তার কথিত প্রেমিকা অনুসূয়া ভৌমিকও। এই পর্যায়ে দৃশ্যপটে হাজির এই উপন্যাসের নায়িকা মেহের আফসার, মানস যাকে নির্বাচন করেছেন তার ড্রিম প্রজেক্ট 'ভাস্বর আপন আলোয়'-এ উপস্থাপনার জন্য। কিন্তু বেপরোয়া হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে মেহেরের দুর্নাম আছে, এলোমেলো জীবন নিয়ে আছে সমালোচনা। একরোখা হিসেবে অনেকেই ওর সাথে কাজ করতে চায় না। মানস মিত্র শেষ পর্যন্ত একে খুঁজে বের করল! তাচ্ছিল্যের হাসি সানাৎ আর অনুসূয়ার চোখেমুখে। কিন্তু মানস ভালো করেই জানেন তিনি কী করছেন। তরুণ প্রযোজক ফারহানকে তিনি দিলেন একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব আর তা হলো মেহেরের মাঝে একটি পরিবর্তন আনার। পেশার খাতিরে মেহের আর ফারহানের মাঝে যে সম্পর্কের শুরু, তা গড়ালো প্রেমে৷ আর এ নিয়ে ষড়যন্ত্রের জাল বুনলেন সানাৎ করিম। অনুসূয়াও নতুন শো-টা বাগিয়ে নিতে সে ষড়যন্ত্রে তাকে সঙ্গ দিলো। এই পর্যায়েই উপস্থিত হলো এক রহস্যময় চরিত্র তৈমুর তুরাগ। কে এই ব্যক্তি, যাকে কেন্দ্র করে এরইমাঝে দর্শকপ্রিয় শো নিয়ে রাতারাতি শুরু হলো সমালোচনার ঝড়? মেহের আর ফারহানের সম্পর্কটাও কি শেষ পর্যন্ত পরিণতি পেয়েছিল?
সাহিত্য বরাবরই টানত তাকে। কিন্তু তথাকথিত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মারপ্যাচে পড়াশোনাকেই গুরুত্ব দিতে হত বেশি। স্বপ্নটা তাই শখের বৃত্তেই বন্দী হয়ে ছিল দীর্ঘসময়। তারপর একদিন আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ... 'গোলকধাঁধা' নামের উপন্যাসিকা দিয়ে লেখক জীবনের যাত্রা শুরু হয় ভূঁইয়া মোহাম্মদ ইফতেখারের। সেটা ছিল ২০১৮ সাল। এরপর ২০২১ সালে প্রকাশিত হয় তার দ্বিতীয় গ্রন্থ 'অন্তর্নিহিত'৷ সবশেষ ২০২২ সালে প্রকাশিত হয়েছে তার রোমাঞ্চ ও রোম্যান্সের মিশেলে এক অনন্য কাহিনী "'যোজনান্তর"। পেশাগত জীবনে সংবাদ উপস্থাপক ভূঁইয়া মোহাম্মদ ইফতেখার কাজ করেছেন এশিয়ান ও বৈশাখী টিলিভিশনে। বর্তমানে একই পেশায় যুক্ত আছেন দীপ্ত টেলিভিশনে।