(একজন সাধারণ মানুষের গোয়েন্দা হয়ে ওঠার গল্প।) প্রায় চার বছর পর মাহিরের সাথে দেখা তাও আবার ফেইসবুকের কল্যাণে। মাহির আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধু, ছোটো ভাই, ম্যাস-মেম্বার, ম্যাসের পরীক্ষামূলক রাঁধুনি। অনেকদিন পর পুরোনো, বন্ধুকে পেয়ে পুরোনো দিনের আড্ডায় ফিরে যাবার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইলাম না। চিলেকোঠার ছাদে বসে তার হাতের স্পেশাল চা খেতে খেতে, শহরের সুর্যাস্ত দেখতে বাধ্য হলাম। সুর্যাস্তের পরপরই মাহিরের চেহারাতেও যেন অন্ধকার নেমে আসলো। জানতে পারলাম, এলাকায় একের পর এক লোক গায়েব হয়ে যাচ্ছে। কেন গায়েব হচ্ছে? কীভাবে গায়েব হচ্ছে ?কেউ কিছুই বলতে পারে না। তাছাড়া কিছুদিন আগে এলাকায় আস্তাকুঁড়ের ব্যবস্থাপকের একটা গরুর নাকে মুখে রক্ত উঠে হঠাৎ মৃত্যুবরণ করে। ব্যাস, এলাকায় এই দুই ঘটনাকে জড়িয়ে বেশ মজাদার ভৌতিক একটা গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। মাহিরের ইচ্ছা সে ভুত দেখবে, আমাকে অনুরোধ করলো তার সাথে থাকার জন্যে। মাহির যদিও ভূতে বিশ্বাস করে না কিন্তু যেহেতু এমন একটা খবর ছড়েছেই তা সত্যি ভূত আছে কি না দেখতে সমস্যা কি? আর যদি ভূত নাই থাকে তাহলে কেন সবাই গায়েব হচ্ছে সেটাতো অন্তত জানা যাবে। মাহিরের কথায় আমিও গোয়েন্দাগিরি একটা ভাব অনুভব করলাম। রাজি হয়ে গেলাম মাহিরের কথায় ভূতের সন্ধানে। কে জানতো কপালে এমনটা ছিলো? ভুত খুঁজতে গিয়ে অল্পের জন্যে নিজেরাই ভূত হওয়া থেকে বেঁচে ফিরেছিলাম কোনোমতে।
মাসুম বিল্লাহ, জন্ম ১৯৯১ সালের ৮ই মে। জন্ম ও বেড়ে উঠা ঢাকা শহরে। পিতা - মো. উবায়দুল্লাহ এবং মাতা- মাহমুদা বেগম। পৈতৃক নিবাস জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামে। ঢাকা শহরে বেড়ে উঠা ও প্রকৃতি থেকে দূরে থাকায় মনের ভেতর প্রকৃতির প্রতি টান অনুভব করেন সবসময়। সেই টান থেকেই সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বনবিদ্যায় স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিলে গড়ে ‘গ্রিন এপ্লোর সোসাইটি' নামের প্রকৃতি ও পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন 'অক্সিজেন বুক' নামে বিনামূল্যে গাছ বিতরণকারী একটি সংগঠনের সাথে আছেন। এছাড়াও স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আছেন বিভিন্ন সেবামূলক সংগঠনের সাথে। আগামীর সাহিত্য নামের একটি সাহিত্য বিষয়ক মাসিক পত্রিকায় সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন। ২০২১ এর বইমেলায় পুস্তক প্রকাশন থেকে একটি উপন্যাস 'প্ল্যাটফর্ম' ও চিলেকোঠা প্রকাশনী থেকে দেশাত্মবোধক একক কাব্য গ্রন্থ 'রৌদ্র দক্ষ দুপুর' প্রকাশিত হয়। এই বছর তার প্রথম থ্রিলার সিরিজ বের হয়েছে তরফদার প্রকাশনী থেকে, সিরিজের প্রথম বই - আস্তাকুড় (ডিটেকটিভ থ্রিলার)। দ্বিতীয় বই - নক্তচারী (কিশোর থ্রিলার)।