ফ্ল্যাপে লিখা কথা মরমী কবি শিতালং শাহ বাংলা ভাব-সাধকদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম। তাঁর জীবকাল অষ্টাদশ শতকের প্রথম পাদ থেকে শেষপাদ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এই সময়সীমার মধ্যে শিক্ষা, সংসার ও দীক্ষা গ্রহণের গুরুবাদী ধারায় তিনি সাধনায় নিমগ্ন হন এবং ভাবসঙ্গীত রচনায় আত্মমগ্ন থাকেন। মুখে মুখে রচনা করেন অসংখ্য গান। তাঁর রচিত গানগুলি খাতায় লিপিবদ্ধ করে রাখেন তাঁরই প্রধান শিষ্য আসগর আলী। জীবদ্দশায় শিতালং শাহের কোনো গানই তাঁর নিষেধাজ্ঞার কারণে মুদ্রিত হয়নি। বর্তমান গ্রন্থে শিতালং শাহের মৃত্যু পরবর্তীকালে প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত সর্বাধিক সংখ্যক গান এবং সেইসঙ্গে তাঁর জীবন, দর্শন ও সঙ্গীত সম্পর্কে বিভিন্ন গবেষকের প্রবন্ধ স্থান পেয়েছে।
গ্রন্থে সংকলিত শিতালং শাহের গানসমূহে পাঠক লক্ষ্য করবেন- গানগুলির মধ্যে একদিকে যেমন আছে ইসলামী ভাবধারার পরিচয় অন্যদিকে আছে বৈষ্ণবের প্রাণ রাধাকৃষ্ণ কাহিনীর আশ্রয়। শিতালং শাহের গানে বাংলার হিন্দু-মুসলমানের সম্মিলিত সাধনার পরিচয় স্পষ্ট হয়ে আছে। বাংলার ভাবচর্চার স্বরূপ বুঝতে বর্তমান গ্রন্থটি সহায়ক হবে।
সূচিপত্র প্রথম পর্ব : প্রবন্ধ * সাধক কবি ফকির শিতালং শাহ : মতিন উদ্দীন আহমদ * শিতালং শাহ : মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন * সাধক কবি শিতালং শাহ : সুধীরচন্দ্র পাল * সুফিসাধক মো: ছলিম ওরফে শিতালং শাহ (র) : চৌধুরী গোলাম আকবর * সুফি শিতালং : ফজলুর রহমান * শিতালং শাহ : এস এম গোলাম কাদির * সুফি সাধক শিতালং শাহ : মোহাম্মদ আবদুর রহিম (জকি) * বরাকের সংস্কৃতি চেতনায় শিতালং শাহ : কামালুদ্দীন আহমেদ * সুফি সাধক শিতালং শাহ : সৈয়দ মোস্তফা কামাল * শিতালং শাহ : জামান আরা বেগম * মরমী সাধক শিতালং শাহ : মাহবুবুল বারী * শিতালং শাহ : শামসুল করিম কায়েস * শিতালং শাহ চর্চার রূপরেখা : নন্দলাল শর্মা * সুফি সাধক শাহ শিতালং : হারূন আকবর * শাহ সুফি শিতালং আমার অনুভবে : আবদুল হামিদ মানিক * শিতালং শাহের গান : অমৃত লাল বালা * শিতালং শাহ ও তাঁর গানে লোকায়ত অনুষঙ্গ : জাহান আরা খাতুন * Sitalang Shah Fakir : Md. Abdul Musabbir Bhuiyan
দ্বিতীয় পর্ব : শিতালং-গীত সংগ্রহ * সংক্ষেপণ সূত্র * গানের প্রথম পংক্তির বর্ণানুক্রমিক সূচি * গান
জন্ম : ৩০ জুন ১৯৫১, মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামে। পিতা : প্রয়াত রুদ্রেশ্বর শর্মা মাতা : প্রয়াতা সুশীলাময়ী শর্মা শিক্ষা ও কর্মজীবন : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স সহ স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান লাভ। ১৯৭৪ সালে বর্তমান। লক্ষ্মীপুর জেলার লক্ষ্মীপুর কলেজে অধ্যাপনার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু। ১৯৭৬ সালে যােগ দেন সরকারি কলেজে। রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজ, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ, বৃন্দাবন। সরকারি কলেজ ও মুরারিচাঁদ কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। ২০০৪ সালে প্রফেসর পদে পদোন্নতি লাভ। মুরারিচাঁদ কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি মেট্রোপলিটন ইউনির্ভাসিটির প্রফেসর পদে কর্মরত। পুরস্কার : শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়ােজিত জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০০০-এ জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষক নির্বাচিত হয়ে স্বর্ণপদক লাভ। সাহিত্য পুরস্কার : বিএনএসএ সাহিত্য। পুরস্কার ১৯৯৬, মহাকবি সৈয়দ সুলতান সাহিত্য পুরস্কার ২০০১, রাগীব রাবেয়া সাহিত্য পুরস্কার ২০০৪, ডা. এ রসুল সাহিত্য পুরস্কার ২০১৪।