শহরের আবদ্ধ জলাশয়ে একটি লাশ ভেসে উঠেছে। উপরে উঠিয়ে দেখা গেল লাশটির মাথা নেই। ফরেনসিক রিপোর্টে জানা গেছে একটি ১০-১৫ বছরের ছেলের লাশ আর হত্যাকাণ্ড হয়েছে দুদিন আগেই। বাতাসের আগে গুজব ছড়িয়ে যায় "কল্লাকাটা" মেরেছে বাচ্চাটিকে ইত্যাদি, একই তারিখে এর আগেও কিছু রহস্যজনক খুন হয়। পুলিশের এসআই একটি ভিন্ন ধরনের কোনো সন্দেহ করে মাহিরের সাথে পরামর্শ করতে আসে। কেইসে আগ্রহ পেয়ে মাহিরও জড়িয়ে যায় কেইসটিতে, সঙ্গে আমিও। সমস্ত তথ্য একত্রিত করে আমরা বিশাল একটা জটে পড়ে যাই।কে হতে পারে খুনি? ২০ বছর আগের মায়ের হত্যার প্রতিশোধ? নাকি খুনের রাজশাক্ষীকে মিটিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা? নাকি সে খুনের সাথে কোনো সম্পর্কই নেই ? বাহির থেকে এসে খুন করে যায় নাকি এলাকার থেকে খুন করে? কী উদ্দেশ্যে এই খুনগুলো? কেন সে খুনের জন্য একটি নির্দিষ্ট তারিখ বেছে নিচ্ছে ? কোন মেসেজ নাকি মানসিক রোগ? নাকি নিতান্তই কো-ইন্সিডেন্ট। শহরের অন্য কোন দুর্ঘটনার মতই এটাও কি একটি সাধারণ নিত্যঘটনা। খুনিকে না ধরা পর্যন্ত তার কিছুই জানা যাচ্ছে না । রাতের আঁধারে এসে খুন করে দিয়ে যায়, তাই আমি তার নাম দিলাম নক্তচারী।
মাসুম বিল্লাহ, জন্ম ১৯৯১ সালের ৮ই মে। জন্ম ও বেড়ে উঠা ঢাকা শহরে। পিতা - মো. উবায়দুল্লাহ এবং মাতা- মাহমুদা বেগম। পৈতৃক নিবাস জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামে। ঢাকা শহরে বেড়ে উঠা ও প্রকৃতি থেকে দূরে থাকায় মনের ভেতর প্রকৃতির প্রতি টান অনুভব করেন সবসময়। সেই টান থেকেই সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বনবিদ্যায় স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিলে গড়ে ‘গ্রিন এপ্লোর সোসাইটি' নামের প্রকৃতি ও পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন 'অক্সিজেন বুক' নামে বিনামূল্যে গাছ বিতরণকারী একটি সংগঠনের সাথে আছেন। এছাড়াও স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আছেন বিভিন্ন সেবামূলক সংগঠনের সাথে। আগামীর সাহিত্য নামের একটি সাহিত্য বিষয়ক মাসিক পত্রিকায় সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন। ২০২১ এর বইমেলায় পুস্তক প্রকাশন থেকে একটি উপন্যাস 'প্ল্যাটফর্ম' ও চিলেকোঠা প্রকাশনী থেকে দেশাত্মবোধক একক কাব্য গ্রন্থ 'রৌদ্র দক্ষ দুপুর' প্রকাশিত হয়। এই বছর তার প্রথম থ্রিলার সিরিজ বের হয়েছে তরফদার প্রকাশনী থেকে, সিরিজের প্রথম বই - আস্তাকুড় (ডিটেকটিভ থ্রিলার)। দ্বিতীয় বই - নক্তচারী (কিশোর থ্রিলার)।