ইসলামি আদর্শ ও ধ্যান-ধারণায় উদ্দীপ্ত একজন মানুষ। যিনি একাধারে ন্যায়পরায়ন, সমাজসেবক, পরিশ্রমী, সফল ব্যাবসায়ী এবং সম্পদশালী। জটিল এক রোগের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তাকে শহরে যেতে হয়। তাই তার সম্পদের বড় একটি অংশ গরীব, অসহায় মানুষের কল্যাণে ব্যায় করার জন্য গোপনে লুকিয়ে রাখেন। ইমাদ তার একমাত্র সন্তান। সে একদিকে যেমন মেধাবী, সাহসী তেমনি পরিশ্রমী। চিকিৎসা চলাকালীন ইমাদের বাবার মৃত্যু হয়। সেই গুপ্তধন কোথায় বা কিভাবে পাওয়া যেতে পারে সেসব তথ্য ইমাদের বাবা ইমাদকে জানানোর সুযোগ পাননি। তবে তিনি ইমাদকে সে গুপ্তধনের সম্পদের প্রতি আকৃষ্ট না হয়ে বরং গরীব-অসহায় মানুষের কাজে লাগানোর ওসিয়াত করে গেছেন। তিনি অতন্ত সফলভাবে ইমাদের অন্তরে ইসলামের বীজ বপন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ফলে বালক ইমাদ ছোটবেলা থেকেই ইসলামি আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে উঠতে শুরু করে। এক সময় সে শহর থেকে গ্রামে ফিরে যায়; লেগে পড়ে গুপ্তধনের সন্ধানে। পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে একদিকে সেই গুপ্তধন খুজে পাওয়া যেমন দুঃসাধ্য আবার অন্যদিকে দস্যুরাও সেই গুপ্তধন সম্পর্কে কিছু ধারানা পায় এবং তার সন্ধান পেতে হয়ে উঠে মরিয়া। কিন্তু নির্ভীক ইমাদ পিতার ওয়াসিয়াত পূর্ন করতে বদ্ধপরিকর। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রোমাঞ্চকর সব ঘটনার মধ্য দিয়ে গল্পের কাহিনী চলতে থাকে। অনেক তিক্ত ও মজার অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে ইমাদের দলে যুক্ত হয় সাহসী ও বুদ্ধিমান নতুন এক বন্ধু - ওয়ালিদ। শুরু হয় দুই বন্ধুর গুপ্তধন সন্ধানের এডভেঞ্চারাস এক অভিযান। দস্যুদের দলকে বোকা বানিয়ে তারা কি পাবে সেই গুপ্তধনের সন্ধান?