গল্পই জীবন জীবনের গল্প- গল্পই মানুষকে আচ্ছন্ন করে রাখে আমৃত্যু। যে জীবনে গল্প নেই সে জীবন শূন্যতায় ভরে ওঠে। গল্পহীন জীবন একটি সরলরেখা- সে রেখায় সূচক শুধু জন্ম এবং মৃত্যু। কিন্তু যে জীবন গল্পের সে জীবন সুন্দর। আনুবীক্ষণিক চাহনিতে উৎসারিত গল্প জীবনকে নাড়া দেয়- আন্দোলিত করে প্রতিপাশ ও ভুবনের সকল কিছুকে। মোহনীয় সবকিছুর আড়ালে যে যাপিত জীবন যা লোকচক্ষুর সামনে ঘটে যায় তাকে সহসাই ক্যানভাসে তুলে আনা কঠিন প্রায়। বলা হয়ে থাকে- মানুষের জটিল হয়ে ওঠাটা অনেক বেশি সরল ও স্বাভাবিক কিন্তু একজন মানুষের সরল হয়ে ওঠাটা প্রায় দুরূহ। ফয়সাল রকি গল্পকার- তিনি জীবনের এইসব সারল্যকে শব্দের ক্যানভাসে তুলে ধরেছেন। প্রথম গল্পগ্রন্থের ‘অতর্কিত ধাক্কা’ সামলে দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থে তিনি থিতু এবং তৃতীয় এ গল্পগ্রন্থে তিনি যথাযথ ও পরিণত। শব্দ-বাক্যে তিনি জটায়ুর মতো একরোখা কিন্তু শিল্পের প্রতি অনুরক্ত। ফয়সাল রকির এই একাগ্রতা তাঁর কথাশিল্পের প্রধান কারুকাজকে মসৃণ করে। বহুকৌণিক এ গল্পগুলো সময় ও শিল্পের যৌথতাকে ধারন করে এবং দীক্ষিত পাঠককে নিমজ্জিত করে কথায় ও গল্পে। পাঠান্তে পাঠক আবিষ্কার করেন স্ববিরোধিতায় কিংবা স্বমহিমায়।