বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস মানুষকে চিরচেনা পৃথিবী থেকে করেছে বিচ্ছিন্ন। জীবন বাঁচাতে আর সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মরিয়া মানুষ। তবুও ঘটছে জীবন সংহার। অচেনা, অদৃশ্য এক ক্ষুদ্রাতি জীবাণু থেকে বাঁচতে মাস্ক পরছে মানুষ। হাত ধোয়ার পেছনে ব্যয় করতে হচ্ছে অজস্র সময়। মানুষ আজ বড়ই অসহায়। মাস্কের বিস্তর ব্যবহারে সংক্রমণ কমছে এটা যেমন সত্যি তেমন মানুষের মুখেই শুধু নয় অন্তরেও বসেছে মাস্ক। মন মগজেও মাস্ক (মুখোশ)। অনেক আগে থেকেই এটা হয়ে আসছে। মাস্ক নিয়ে হলিউডে মুভিও হয়েছে। সবশেষ স্পাইডারম্যান মুভিতেও সবচেয়ে বেশি যে ম্যাজিক দেখানো হয়েছে তা মাস্কের মাধ্যমেই। এই মুখোশই মনুষ্যত্ব থেকে মানুষকে করেছে আলাদা। মুখোশের আড়ালে হাজারও অপরাধ করে লোকালয়ে সাধু সেজে ঘুরে বেড়ায় সে মানুষই। এদের মুখোশ উন্মোচিত হলে প্রকৃত চেহারা বেরিয়ে আসে। সত্যিকার অর্থে যা এক প্রকাণ্ড কুৎসিত। লেখকের এই বইটিতে সে রকম নিবন্ধও রয়েছে। পাশাপাশি করোনাকালে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনারই বর্ণনা রয়েছে এই বইয়ে। এছাড়া সমসমায়িক ইস্যুগুলোকে পাঠকের কাছে প্রাঞ্জলভাবে তুলে ধরেছেন লেখক। সামাজিক অসংগতি, প্রকৃতি, মানুষ, আশপাশে ঘটে যাওয়া নানা ঘটন-ঘটনের তথ্যাদিও তুলে এনেছেন পাঠকের সামনে। রস আর নির্যাস থেকেই পাঠককে আনন্দ দেওয়ার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন নিষ্ঠার সঙ্গে। নিজ দায়িত্ব পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত আর দেশপ্রেম। মানুষ, মানবিকতা আর মনুষ্যত্ব কোনোটাই একক কোনো সত্তা নয়। এর প্রতিটিই একে অন্যের পরিপূরক আর অনুসঙ্গ। সেটাও লেখক সমাজপতি, নীতি নির্ধারকদের মনে করিয়ে দিয়েছেন তাঁর লেখনীতে। ড. রাফিউদ্দীন আহমেদ সহযোগী অধ্যাপক, মার্কেটিং বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়