যে সব কারণে একজন কবি তার সমাজের, স্বদেশের ও পৃথিবীর; সে সবই বিস্তার ঘটেছে কবি জামিল বিন খলিলের ভাবনায়, প্রকাশে অর্থাৎ তিনি একই সাথে মানবিক যুগপৎ। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধিকার আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু যেমন এসেছে তাঁর কবিতায়, তেমনি অপরূপ ছন্দ দোলায় প্রকাশ করেছেন প্রকৃতি, নারী স্বাধীনতা, জ্যোৎস্না ও বৃষ্টির গান। কবি জনবিচ্ছিন্ন নন, কবি কেবলই সুর ছন্দের অলীক সমাজে বাস করেন না। তিনি জানেন কেমন করে বর্ণনা করতে হয় পোড়া মানুষের বারুদপোড়া গন্ধ, তিনি অনুভব করেন বাতাস বিদীর্ণ করে ভেসে আসে জর্জ ফ্লয়েডের করুণ আকুতি- ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না’। তাঁর কাব্যভাষা সুন্দর, সহজিয়া, চোখ বুলালেই প্রাণে ছোঁয়। বোঝেন নিজের অপার কাব্যভুবন কী করে অন্য ভুবনে ছড়াতে হয়। জামিলের কবিতা নিভৃতে পাঠ করা যায়, সশব্দে পাঠ করা যায়, সবার সাথে ভাগ করে আনন্দ-পাঠ করা যায়। নিজে যেহেতু আবৃত্তি ভালোবাসেন ও আবৃত্তি সংগঠনের সাথে জড়িত, সে কারণে হয়ত অনেকগুলো কবিতা উচ্চারিত পাঠে সুমধুর ও দ্যোতনাময়। জামিল বিন খলিলের প্রথম কাব্যগ্রন্থ এটি। বাংলা ভাষায় কবিতা-সম্পদের বিশাল ভাণ্ডারের সাথে তুলনা করা হয়ত ঠিক হবে না, তবু পাঠক নিরাশ হবেন না। কবিতা পাঠের যে নির্মল আনন্দ ও ভাবনা-বিস্তার, তা পাওয়া যাবে পরতে পরতে। ‘আকাশ তুমি থামো’ কাব্যগ্রন্থটির জয় হোক। শুভমিতি। অপরাহ্ন সুসমিতো