আমাদের দেশের বেকার সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।তরুন প্রজন্ম দেশে কাজের সুযোগ না পেয়ে প্রবাসে পাড়ি জমাচ্ছে।এটা আমাদের দৈনিন্দ জীবনের একটা বৃহৎ সমস্যা।তরুনরা এখন আর মধ্যপ্রাচ্যে গিয়েই ক্ষ্যান্ত নয়।তারা উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপ যেতে বদ্ধপরিকর। ইউরোপে যাওয়ার জন্য মানুষ জেনে শুনেই লিবিয়ার মতো মৃত্যুকূপে প্রবেশ করে।ভূমধ্যসাগরে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ নৌকা ডুবিতে প্রাণ হারাচ্ছে।তবুও তরুনদের কাছে এগুলোর কোনো পরোয়া নেই। পরোয়া না থাকার কারণ হচ্ছে,দেশে পর্যাপ্ত কাজের সুযোগ না থাকা,আর পরিবারের অভাব অনাটন।লিবিয়াতে দিনের পর দিন না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করে, প্রত্যেকটা মুহূর্ত জীবন ও মৃত্যুর সংগে লড়াই করেই টিকে থাকতে হয়।তবুও মৃত্যুকে তুচ্ছ্ব জ্ঞান করে তারা বীর সৈনিকের মতো এগিয়ে চলে। লিবিয়া এবং ভূমধ্যসাগরে প্রতিদিন প্রানহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তার সাথে বেড়ে চলেছে এই অবৈধ পথের যাত্রীদের সংখ্যাও।বাংলাদেশসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশ এবং আফ্রিকার কিছু দারিদ্র দেশের মানুষ এই অবৈধ পন্থায় ইউরোপে পারি জমায়। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যতোগুলো চরিত্র সৃষ্ট হয়েছে,এই চরিত্রগুলো কোনো কাল্পনিক কিংবা কল্পিত চরিত্র নয়।সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা।এখানে উল্লেখিত চরিত্রগুলোর সবাই বেচে আছে না লিবিয়া অথবা ভূমধ্যসাগরে প্রাণ হারিয়েছে সে আমার জানা নেই।তারা যেখানেই থাকুক পরম করুনাময় যেন তাদের সুখে রাখেন।তাদের প্রত্যেকের জন্য আমার শুভকামনা।