‘স্বীকৃতি দে, স্বীকৃতি দে’ দাবি নিয়ে বইটির লেখক রইসউদ্দিন ভূঞা লেখা শুরু করেননি। তা করলে, ১৯৭২-এর শুরুতেই তাঁর প্রকাশিত-সম্পাদিত জনান্তিক সাহিত্য পত্রিকায় তাঁর লেখা গল্প-উপন্যাস-ফ্রেড হ্যালিডের মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিদ্রোহ নিয়ে লেখা ছাপা হতো। বর্তমান এবং আগামী প্রজন্মের কথা ভেবেই অপেক্ষমান কামরায় বসে ২০১২ সালে তাঁর প্রথম লেখা ‘বাঙালির চতার্মাত্রিক ইতিহাস’ এবং ২০১৪ সালে ‘আহমদ রফিকের পথচলা’ বই দুটো রচিত। ‘বাঙালির ধর্মবিশ্বাস ও রাজনীতি’ বইটিও একই প্রয়োজনে লেখা হয়েছে। সারা বিশ্বে বিশেষ করে এশিয়ায় ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক সহিংসতা যেভাবে বেড়ে চলেছে তা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মহাহুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাঙালি জাতির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মদেরও একই সমস্যা। বাঙালি ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক নেতারা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মদের কথা ভাবে বলে তাদের আচরণ দেখে মনে হয় না। বাঙালি জাতি পাকিস্তানি শাসকদের কবল থেকে মুক্ত হয়েছিল একটি অসাম্প্রদায়িক বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থার আশায়। স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও তা পূর্ণ হয়নি। সকল ধর্মের একই লক্ষ্য মানুষের মধ্যে মানবতাবাদ প্রতিষ্ঠা আর সকল রাজনীতির একই লক্ষ্য সুশাসনের মাধ্যমে মাতৃভূমির সকল জনগোষ্ঠীর কল্যাণ। কিন্তু কেন হয়নি তা বর্ণনা করাই বইটি রচনার উদ্দেশ্য। বাঙালির ধর্মবিশ্বাস পর্বে তথ্য নির্দেশ রচনায় সংযুক্ত আর রাজনীতি পর্ব রচনায় লেখককে ‘বাঙালির চতুর্মাত্রিক ইতিহাস’-এর সাহায্য নিতে হয়েছে। সুতরাং বইটির তথ্য নির্দেশ সংযুক্ত করার প্রয়োজন নেই।