এই বইয়ের লেখক অরাজনৈতিক রইসউদ্দিন ভূঞা মাতৃভূমির জাতীয় সংগীতের ইতিহাস বর্ণনা লিখতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা রচনা করার প্রয়োজনবোধ করেছেন। গণতন্ত্রের পূজারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। লক্ষ লক্ষ শহীদের রক্ত, লক্ষ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে দেশের স্বাধীনতা কিন্তু অর্জিত হয়নি আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি। গণতান্ত্রিকভাবে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্য নিয়ে রবীন্দ্রনাথের সোনার বাংলা গড়ার জন্য এগোলেন কিন্তু তা ব্যর্থ হলো দুর্নীতিবাজ, দলীয় কায়েমি স্বার্থবাদী এবং গণতান্ত্রিক সন্ত্রাসবাদীদের কারণে। তিনি বাধ্য হলেন বিধ্বস্ত দেশ গড়ার জন্য জাতীয় একদল বাকশাল গঠন করতে। মেহনতি কৃষক-শ্রমিকের ভাগ্য গড়ার জন্য তিনি হাতে নিয়েছিলেন উর্বরা বাংলাদেশ প্রকল্প। বঙ্গশত্রুরা তাঁকে সপরিবারে নির্মম-নৃশংসভাবে হত্যা করে ঘুচিয়ে দিলো তাঁর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন। ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতা হাতে পেয়ে মৃত্যুভয়কে তুচ্ছ করে পিতার স্বপ্ন সোনার বাংলা বাস্তবায়নে লেগেছেন আর সারা বিশ্ব অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখছে। কিন্তু তাঁরও নিস্তার নেই মহাদুর্নীতিবাজ-ঘুসবাজ-কুচক্রীদের হাত থেকে। তিনিও শূন্য সহ্যশক্তি ঘোষণা দিয়ে এগিয়ে চলেছেন। কিন্তু একা কতটা করবেন? তাঁর মনোমতো কিছু সঙ্গী না পেলে কি একা সোনার বাংলা গড়া সম্ভব? দুর্নীতি দেশের সমস্ত সমাজে অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সমাজের এই দুর্নীতি অভ্যাস দূর করার একমাত্র দায়িত্ব অরাজনৈতিক তরুণসমাজের। তাহলেই সোনার বাংলা গড়া সম্ভব। লেখক বইটিতে লিখেছেন একমাত্র দেশপ্রেম এবং স্বাধীনতার সপক্ষ শক্তি ভিন্ন তা সম্ভব নয়।