সপ্তদশ শতক। ডেভিড ব্যালফুর। সতেরো আঠারো বছর বয়সী অনাথ ডেভিড ব্যালফুর, মা বাবা হারিয়ে এখন অনাথ সে। মি. ক্যাম্বেলের কথামতো রওনা দেয় ’শ’ জমিদার বাড়ির উদ্দেশ্যে। মনে মনে ভাবে এবার বুঝি ভাগ্যটা খুলবে! কিন্তু সেখানে গিয়ে ’শ’ এর জমিদার মি. এবেনজার ব্যালফুর সম্পর্কে কারও কাছে জানতে চাইলে দুর্নামই শুনা যায়। তারপর যখন জমিদার বাড়িতে পৌঁছায়, দেখে অসমাপ্ত অর্ধেক বাড়িটা নিস্তব্ধ। ডেভিড তখনো জানে না তার ভাগ্য মোড় নিবে কোনদিকে! রহস্যময় এই এবেনজার ব্যালফুর ঠিক কেমন তা ঠাহর করতে পারে না ডেভিড। তবে যতক্ষনে বুঝতে পারে ততক্ষণে বেশ দেরি হয়ে গেছে। কুইন্সফেরির বন্দরে কোভেন্যান্ট জাহাজের ক্যাপ্টেন হোসিয়ানসন এর তত্বাবধানে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ডেভিড বুঝতে পারে তাকে ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি করা হবে। কিন্তু তাহলে কাহিনী সেখানেই শেষ হয়ে যায়! জাহাজে একটা দুর্ঘটনার মাধ্যমে ডেভিডের সাথে পরিচয় হয় আল্যান ব্রেক স্টুয়ার্ট এর সাথে। তারপর একটা খন্ড যুদ্ধ, ঘাত প্রতিঘাত, নানা দুর্ঘটনা, আর আল্যান আর ডেভিড এর একরমম অসহায় আর মৃত্যুর হুলিয়া নিয়ে শুরু হয় এডভেঞ্চার। ডেভিড এর গন্তব্য কুইন্সফেরি আর আল্যান যেতে চায় ফ্রান্স। কে জানে কে কোন পর্যন্ত পৌঁছেছিল?!