একজন সুশীল সেবকের মূল চালিকাশক্তি হলো তার ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। একজন সুশীল সেবককে উপলব্ধি করতে হবে যে, নাগরিকদেরকে সেবাদান এবং তাদের কল্যাণ করার জন্যই তিনি চাকরিতে নিয়োজিত হয়েছেন। সাধারণ নাগরিকরাই তার প্রকৃত মনিব। কেননা তিনি তাদের কষ্টার্জিত অর্থেই বেতন—ভাতা আহরণ করেন, আরাম—আয়েসের জীবনযাপন করেন। এ বোধ থাকলে কোনো সুশীল সেবকের পক্ষে দায়িত্বে অবহেলা অথবা দুর্নীতি করা কোনোভাবেই সম্ভব হয় না। সিঙ্গাপুরের Institute of Management and Development হলো Hire for Attitude, Train for Skillভালো কাজের প্রতি, সুশাসন ও শুদ্ধাচারের প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে আমরাও বলতে পারি Attitude is a very little thing but it can make very big difference in fact, attitude is everything To do something worthy. ভালো কাজের শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। আজ ভালো করেছি বলে আগামীকাল আরো ভালো করার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়নি। কেননা Excellence has no boundary it is extensible everyday So, never be complacent For what you have done try to bring some improvement at every moment. একজন সুশীল সেবকের সর্বোত্তম গুণাবলি হলো, কর্তৃপক্ষের প্রতি আনুগত্য, নৈতিক, বুদ্ধিভিত্তিক ও আর্থিক সততা, আইন, বিবেক ও ন্যায়বিচারের প্রতি দায়বদ্ধতা, সেবাদানের মনোভাব, সাহস, দ্রুত সিদ্ধান্ত দেওয়ার সক্ষমতা, পেশাগত জ্ঞান, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার দক্ষতা এবং ব্যক্তিত্ব ও আত্মমর্যাদাবোধ বজায় রেখে চলা। একজন সুশীল সেবক পেশাদার হবেন, সেবাদাস হবেন না।