বাবুই পাখি আর চড়–ই পাখি খুব ভালো বন্ধু। বাবুই বাস করত তালগাছের পাতায় নিজের তৈরি করা ঘরে। আর চড়–ই বাস করত তালগাছের পাশে বড় একটি অট্টালিকায়। একদিন প্রচÐ ঝড়বৃষ্টি হয়েছিল। সেই ঝড়বৃষ্টিতে বাবুই পাখির নিজের তৈরি করা কাঁচা ঘর ভিজে চুপসে যায়। ওদিকে চড়–ই পাখি আছে মহাসুখে। বাবুই পাখির কষ্ট দেখে বাবুই পাখিকে ডেকে চড়–ই বলল―বন্ধু বাবুই, এত ঝড়বৃষ্টিতে না ভিজে আমার পাকা ঘরে চলে এসো। দেখো না আমি কত সুখে আছি আর তুমি কত কষ্ট পাচ্ছ রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে। বাবুই হেসে বলল―কষ্ট পেলেও তবুও আছি নিজের বাসায়। চড়–ই উপহাস করে বলল―ভাঙা বাসায় থেকে গর্ব করছ বন্ধু? আমাকে দেখো, আমি কত সুখে আরাম-আয়েশে আছি। বাবুই বলল―সুখে-আরাম-আয়েশে থাকলেও ওটা পরের বাসা। চড়–ই রেগে গিয়ে বলল―তুমি মরো গে। পরের দিন চড়–ই বাবুই পাখিকে ডেকে বলল―চলো বন্ধু আমরা ওই পাশের গ্রামের ধানের জমিতে ধান খেতে যাই। বাবুই ও চড়–ই পাখি ধান খেতে গেল। গিয়ে দেখে ওদের আগেই এক সুন্দরী মেয়ে চড়–ই ধান খেতে এসেছে। বাবুই চড়–ই পাখিকে বলল―দেখো দেখো বন্ধু এক সুন্দরী চড়–ই ধান খেতে এসেছে। চড়–ই বলল―চলো ওর সাথে আলাপ করি। চড়–ই বলল―তুমি কে গো? কোন গ্রামে তোমার বাড়ি? মেয়ে চড়–ই বলল―ওই যে দূরের মসজিদটি দেখছ, ওখানে আমি থাকি। চড়–ই উপহাস করে বলল―ও, মসজিদে থাকো! আর আমি বড় অট্টালিকায় থাকি। মেয়ে চড়–ই বলল―মসজিদের মিনার থেকে ভেসে আসা সুমধুর আজানের ধ্বনি শুনতে খুব ভালো লাগে।