মানবজীবনকে যদি একটি বই মনে করা হয় তবে সে বইয়ে পাওয়া যায় অনেকগুলো অধ্যায়। কোনো অধ্যায়ে সুখের গল্প, কোনোটাতে অসহনীয় দুঃখের বর্ণনা। কোনোটাতে প্রেম, কোনোটাতে দ্রোহ। আবার কোনো কোনো অধ্যায়ে ফেলে আসা জীবনের আক্ষেপ প্রকাশ হয় দীর্ঘশ্বাসের সাথে। মানুষের জীবন খুবই বৈচিত্র্যময়। একেকটা ঘটনা প্রকৃতিতে আসা বর্ষার মতো মনকে শীতল করে, কখনো বিধ্বস্ত করে ঝড়ের তাণ্ডবে। আবার বসন্তের মতোই মনকে মাতিয়ে তোলে কোকিলের কুহুতান ও অজস্র ফুলের সৌরভে। কিন্তু এই বৈচিত্রময় জীবনের নানা অভিজ্ঞতা গল্পাকারে বর্ণনা করা কাল্পনিক গল্পের চাইতেও বেশ কঠিন কাজ। কল্পনা আশ্রিত গল্পে লেখক ইচ্ছেমতো সব সাজাতে পারেন, কিন্তু বাস্তব জীবনের গল্প রচিত হয় নিয়তির দ্বারা। আর সেই অভিজ্ঞতাগুলো যখন লেখক গল্পাকারে ফুটিয়ে তুলতে যান তখন সেই ঘটনাগুলোই তাকে আবার নতুন করে স্পর্শ করে, তাকে হাসায়, তাকে কাঁদায়, তাকে রোমাঞ্চিত করে, তোলপাড় করে। মনের সাথে নিজের তীব্র বোঝাপড়া না থাকলে এমন গল্প লেখা সম্ভব হয় না। লেখিকা মাহবুবা আরিফ সুমি তার ‘বর্ষা আসে বসন্ত’ গল্পগ্রন্থে এমন ১৪টি গল্প সন্নিবেশিত করেছেন। গ্রন্থের কয়েকটি গল্প এমন জীবনের খুব কাছ থেকে দেখা ও আশেপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়েই রচিত। গল্পগুলো আমার হৃদয়কে যেভাবে স্পর্শ করে গেছে, আশা করছি সকল পাঠক হৃদয়কেও তেমনিভাবে আন্দোলিত করবে। সলসবিলা নকি