দিগন্তে নীল জল রাজিয়া রহমান রাজিয়া রহমান (রাজিয়া সুলতানা পিংকি) সাম্প্রতিক সাহিত্যাঙ্গনে এক প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ সাহিত্যিক ও বাচিক শিল্পী। তাঁর লেখায় সমসাময়িক দেশ ও বিশ্বপরিস্থিতির বাস্তব চিত্র ফুটে ওঠে। তিনি একাধারে কবি, গীতিকার, কথাশিল্পী, প্রাবন্ধিক ও আবৃত্তিকার। দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন বাংলা পত্রিকায় তাঁর লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হয়। নারী পুরুষের অসমতা, সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি, নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গির চিত্র তাঁর লেখনীতে স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। নারী ও পুরুষের মধ্যে বৈষম্যমূলক দূরত্ব না রেখে মৌলিক বিষয়গুলো যেন সমান প্রাধান্য পায় তা তিনি মনে প্রাণে কামনা করেন। সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি তাঁকে যেমন ভাবিয়ে তোলে তেমনি প্রেম, দ্রোহ আর সৌহার্দ্য নিয়েও কলম ধরেন সযতœ বিবেচনায়। বিবেকহীন মানুষের মাঝে বিবেক জাগ্রত করা এবং শিক্ষিত মানুষদের সুশিক্ষিত করা তাঁর লেখার অন্বিষ্ট। রাজিয়ার মতে, লেখার বিষয়বস্তু যা-ই হোক, লেখা হবে প্রাঞ্জল, সহজ-সরল। কবি সাহিত্যিকের লেখা যদি সহজেই পাঠকদের নিকট বোধগম্য না হয় তবে সাধারণ পাঠক সেই দুর্বোধ্য লেখা পাঠের বিষয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। তাঁর প্রতিটি কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধে বিষয়ের সাথে সাথে সমাজের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় যেমন লক্ষণীয়, তেমনই লেখার উদ্দেশ্যও স্পষ্ট। একবিংশ শতাব্দীর করোনা মহামারী ও বিশ্বের পরিবর্তিত পরিস্থিতি তাঁকে যেমন ভাবিয়ে তোলে তেমনি কয়েক শতক পূর্বে পৃথিবীর অবস্থা ও সেই সময়ের কবি-সাহিত্যিকদের সাহিত্যের উপকরণ, মানুষের জীবন ধারণ প্রক্রিয়া এবং ভবিষ্যতের বিশ্বপরিস্থিতিও তাঁকে ভাবিয়ে তোলে। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ভালোবাসার নীল পাখি’ বেশ সাড়া ফেলেছিল পাঠক-শুভার্থী মহলে। ২০২২ একুশে বইমেলায় প্রকাশিত ‘দিগন্তে নীল জল’ তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ। বইটির বেশ কিছু কবিতা হৃদয়কে নাড়া দেয়ার মতো। এই কাব্যগ্রন্থটিও পাঠকমহলে সমাদৃত হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। পাঠকদের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।