কারো নই অন্য কেউ সোহরাব পাশা সাম্প্রতিক বাংলা কাব্যভুবনে অন্যতম বিশিষ্ট নাম সোহরাব পাশা। তাঁর প্রতিটি কবিতায় সৌন্দর্যখচিত ভাষা-অবকাঠামোর অন্তরালে লীন হয়ে থাকে এক-একটি গল্প। গল্পের আবহ তৈরি করে প্রেম প্রকৃতি নারী স্বদেশ সমাজ সভ্যতা রাষ্ট্র ও ব্যক্তিসংকট এবং সমকাল। রোমান্টিক কবি-চারিত্রের অধিকারী এ কবি কাব্যভাষা নির্মাণে সম্পূর্ণ আধুনিক। ইতিহাস ঐতিহ্য ও মিথের যথাপ্রয়োগ, উপমা উৎপ্রেক্ষা রূপক প্রতীক ও চিত্রকল্পের ব্যঞ্জনা পাশার কবিতাকে দেয় অতুলনীয় বৈভব। এরই মধ্যে কাব্যভাষায় কবি তাঁর নিজের জন্যে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নির্মাণে সক্ষম হয়েছেন। নান্দনিক পরিচর্যায় পাশার কবিতা বিশিষ্টতায় উজ্জ্বল। তাঁকে আলাদাভাবে চেনা যায়। এখানেই তাঁর শক্তিমত্তার পরিচয়। পাশার কবিতায় পাঠকচিত্তে সঞ্চারিত হয় গভীর সংবেদনা ও অনুরণন। দার্শনিক মনোভঙ্গি ও শিল্পকৌশলের রসায়নে পাশার কবিতা খুলে দেয় সৌন্দর্যবিশ্বের অলৌকিক দরোজা। একজন প্রকৃত কবির চৈতন্যমূল প্রোথিত থাকে স্বদেশের মৃত্তিকায়। পাশা একজন প্রকৃত কবি। আর সে-কারণেই লক্ষ করি : দেশমাতৃকার মুক্তিকল্পে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, তার রক্তঝরা ইতিহাস এবং বাঙালির মহার্ঘ অর্জন তাঁর কবিতায় তুমুলভাবে আশ্রয় পেয়েছে।
সােহরাব পাশা জন্ম : ১ জুলাই ১৯৫৬ জন্মস্থান : ফুলহারা, ঘাটাইল, টাঙ্গাইল পিতা : মুহাম্মদ জোয়াহের মিয়া মাতা : সিফাতুন নিসা শিক্ষা : বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিএ অনার্সসহ এমএ, ১৯৭৮ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পেশা : সহকারী অধ্যাপক ঈশ্বরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ প্রকাশিত কবিতার বই : পাথর রাত্রি (১৯৮৮) আনন্দ বাড়ি নেই (১৯৯৩) বিকেলে জলপাই রােদে (২০০২) শরবিদ্ধ স্বপ্লবেলা (২০০৪)। ভালােবাসা অগ্নির হাতে (২০০৯) কেউ বলে না কিছুই (২০১১) নির্বাচিত কবিতা (২০১১) আমার সমস্ত গন্তব্যে তােমার বাড়ি (প্রকাশিতব্য)। মুক্তিযুদ্ধের কবিতা (২০১৩)