বাংলাদেশে ক্রমাগত ধর্মীয় মৌলবাদের উত্থান, একাধারে উসকে দিচ্ছে সাম্প্রদায়িকতাকেও। এই বিষাক্ত দানবের প্রভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রের ভেতরে বিদ্যমান গণমুখী উপাদানও ক্ষীণ হয়ে পড়েছে, বিপরীতে লুঠপাটের সুবিধাজনক স্তর লকলকিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে, পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থার ঘাড় মটকে দেওয়ার পথে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশ এমন গহিন অন্ধকার বিবরে হামাগুড়ি দেবে-তা কখনও কাম্য ছিল না। বাংলাদেশকে নিয়ে স^প্ন-দেখা মানুষেরা হিমশিম খাচ্ছেন চিন্তার সঙ্গে বাস্তবতার এমন দূরত্ব দেখে। প্রতিবাদকারী সংখ্যাগরিষ্ঠ সমাজও শক্তিবাজ ও দাম্ভিকদের কাছে অসহায়, ব্যাপক অর্থে প্রতিবাদকারীরা সংখ্যাগুরু হয়েও সংখ্যালঘু। মাতাল বাঁশির কাহিনি নির্মাণ করা হয়েছে সমাজ-বিনাশী ধর্মীয় মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতার উপাত্ত, সংবেদ ও বাস্তব নানা চিত্রময়তাকে উপজীব্য করেই। বাংলাদেশের চিকিৎসাব্যবস্থার করুণ চিত্র এতই ভয়াবহ, দেখে শুনে মনে হয়তো থেকে দেশবাসীর কোনও মুক্তি নেই। এই চিকিৎসাব্যবস্থার বাণিজ্যিক নির্যাতনে হাবুডুবু খাওয়া সমাজেরই একটি চিত্র এ কাহিনির শুরু থেকে শেষ অবধি। এছাড়া পুঁজিবাদী ধারায় গজিয়ে ওঠা প্রতারণার শেকড় প্রোথিত সমাজ বিষাক্ত ছোবলে ক্ষতবিক্ষত। তাকেও চিহ্নিত করার প্রয়াস কাহিনির আদিঅন্তে।