আমাদের কারোই সঠিক গন্তব্য জানা নেই। আমরা জানি না জীবন নামের রেলগাড়িটা ছুটতে ছুটতে আমাদের কোন স্টেশনে নিয়ে যাবে। তবুও নিত্যই ছুটে চলা এই অজানায়। এই অজানা গন্তব্যে ছুটার সময় আমাদের সবার জীবনেই এমন কিছু ঘটনা হুট করে ঘটে যায়, যার জন্য আমরা কেউই প্রস্তুত থাাকি না। এই চলার পথে কেউ কেউ হৃদয়ের অনেক কাছে চলে আসে। খুব আপন হয়ে যায়। আবার হুট করে হারিয়েও যায় সেই প্রিয়মুখ। শত চেষ্টাতেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। মনে ভ্রম আসে। কেন এমন হলো? এ প্রশ্ন বারংবার জন্ম নেয় মনের মধ্যে, কিন্তু উত্তর পাওয়া যায় না। তবে জীবন কিন্তু থেমে থাকে না একেবারে! হয়তো কিছু সময়ের জন্য তার স্বাভাবিক ছন্দ হারিয়ে ফেলে। আবার শুরু হয় নতুন ভাবনায় অজানা গন্তব্যে। এমনই এক গন্তব্যহীন সহজ যাপিত জীবনের গল্প উঠে এসেছে উপন্যাস ‘গন্তব্য’এ। হয়তো সবার জীবনে এমন কোনও না কোনও গল্প আছে। সহজ, সাবলীল গদ্যচয়নে সুকান্ত গুপ্তের উপন্যাস ‘গন্তব্য’তে পাঠক জীবনের একটা গন্তব্য খুঁজে পাবে। গল্পের স্রোতে ভেসে গিয়ে উপভোগ করবে এক নিরবিচ্ছিন্ন ভ্রম বিভ্রমে মেশানো জীবনের স্রোতধারা। স্বাগতম গন্তব্যের যাত্রায়। --শানারেই দেবী শানু
দুটি পাতা একটি কুড়ির শহর সুন্দরী শ্রীভূমির ছেলে সুকান্ত গুপ্ত। ছোট থেকেই শুদ্ধ সংস্কৃতির সাথে পথ চলে আসছেন।পেয়েছেন জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যায়ার্ড। মূলত আবৃত্তিশিল্পী হলেও ছোট বেলা হতেই লেখালেখির সাথে জড়িত। লেখেছেন নিয়মিত স্থানীয় এবং জাতীয় দৈনিকে। দীর্ঘ সময় সম্পাদনা করেছেন সাহিত্যের ছোট কাগজ শ্রুতি। এ পর্যন্ত নয়টি আবৃত্তি অ্যালবাম বের হয়েছে তার। সুকান্ত বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের নির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ আবৃত্তি শিল্পী সংসদ এর যুগ্ম সদস্য সচিব। সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রুতি সিলেটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সুকান্ত।