জাতির জনকের রক্তের উত্তরাধিকার পাঁচ সন্তান- শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, শেখ কামাল, শেখ জামাল, আর শেখ রাসেল। কিন্তু আদর্শের উত্তরাধিকার শত, সহস্র, অযুত, নিযুত, কোটি। বাংলাদেশ জুড়ে শুধু নয়, দুনিয়া জুড়ে। চট্টগ্রামের চেরাগির পাদদেশের নিবাসী প্রদীপ জাতির জনকের সেসব আদর্শের সন্তানদের একজন। বঙ্গবন্ধু প্রদীপকে স্নেহ করতেন। প্রদীপের কাছে জাতির জনক শুধু পিতা নন, পিতারও অধিক। প্রদীপের মতো এমন ক্ষ্যাপা সন্তান চট্টগ্রামে আরও আছেন। মহিউদ্দিন, আখতারুজ্জামান বাবু, মৌলভী সৈয়দ, স্বপন চৌধুরী, মোছলেম উদ্দিন, শিশির দত্ত, অমল মিত্র আরও কত কত। জাতির জনকের বিশ্বস্ত বন্ধুর তালিকাও কম বড় নয়। ক্ষয়িষ্ণু জমিদার পরিবারের সন্তান প্রদীপ এদের মধ্যে বেড়ে উঠলেও ছিল পুরো মাত্রায় বাউণ্ডুলে। মায়ের স্নেহ, নারীর ভালোবাসা ক্ষাপাটে প্রদীপকে চার দেওয়ালের মধ্যে বাঁধতে পারেনি। প্রদীপ একবার একাত্তরে গৃহত্যাগী হয়েছিল। ফেরার কথা ছিল না। ফিরেছিল। আবার ঘর ছাড়ে পঁচাত্তরে। আর ফিরেনি। নাকি ফিরতে দেয়নি হন্তারক। প্রিয় পাঠক, আসলে প্রদীপের জীবনের পুরোটাই গল্প কথা। নানা কারণে এই গল্প কথার সৃষ্টি। এ আখ্যানে বর্ণিত হয়েছে সেই কাহিনী। প্রদীপের যাপিত জীবনের সঙ্গে জাতির জনকের আরও অনেক সন্তানের কথা এখানে বলা হয়েছে। বিশাল এক ক্যানভাসে বর্ণিত হয়েছে একটি জনপদের জাতির জনকের আরও অনেক সন্তানের কথা। একটি নষ্ট সময়ের বিরুদ্ধে তাঁদের প্রতিরোধের কথা।