যে একবার সত্যিকারের পুরুষ হয়ে উঠেছে সেই জানে, সংসারের বেড়াজালে যন্ত্রমানবের মতো; কেমন আবদ্ধ করে ফেলেছে নিজেকে। এ সমাজ পুরুষকে কাদার স্বীকৃতি দেয়নি। এ সমাজে পুরুষের কান্না নিতান্তই উপহাস মাত্র। পুরুষ সে'তো শুধুই পুরুষ, কান্না তাকে মানায় না। এ সমাজে জন্মে অশ্রুক্ষরণের অধিকার সে হারিয়েছে। মনিবের লাঞ্ছনা কিংবা প্রেমিকার প্রবঞ্চনা কোনটাতেই তার কাদতে বারণ। নিজের ভিতর এভাবে অশ্রু চাপা দিতে দিতে কখন যে পাথর করে তুলেছে নিজেকে , নিজেই রাখেনী সে খবর। সংসার নামক সরাইখানা সামলাতে কত অপমান আর লাঞ্ছনা দিয়েছে কবর নিজের ভিতর সে খবর রাখেনি কেউ কোনদিন। সে ইতিহাস হয়নি লেখা চোখের জলে। বরং দায়িত্বের এতটুকু ঘাটতিতে'ই অবলীলায় পুরুষের কানে বেজেছে অভিযোগের বীণ। তাইতো রুগ্ন পিতার শিয়রে বসেও হয়না চোখে অশ্রুক্ষরণ। পুরুষ সে'তো শুধুই পুরুষ, এ সমাজে পুরুষের কাদতে বারণ। অর্ধাঙ্গিনী- প্রিয়তমার বিদায় বেলায় , পাথর চোখে স্মৃতিরা কাদে অবলীলায় হয়না চোখে অশ্রুক্ষরণ। কি করে হবে; পুরুষের চোখে যে কান্নার হয়েছে মরণ। বুকের প্রকোষ্ঠে শুকিয়ে গেছে পুরুষের প্রকৃত কান্না চেপে রাখা দীর্ঘশ্বাসে। শীতল জীবনে পাথর চোখের অগ্নিক্ষরণ , চারিপাশ উষ্ণ রেখে; নিজেকে পুড়ায় শেষে। নিজেকে পুড়িয়ে জেলে যায় পরিবারের প্রতিটি প্রদীপ। তবুও যেন শোধ হয়ে উঠেনা তার , পুরুষ হওয়ার ঋণ।