মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ব্যাপক ও বিস্তৃত, এর একটি ছোটো অংশ নিয়ে রচিত এই বই। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে এবং পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর নির্মম গণহত্যার বিরুদ্ধে সেই সময় সমগ্র দুনিয়াব্যাপী যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল, যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল সেই অধ্যায় বা গল্প বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়। এটি এতই গুরত্বপূর্ণ অধ্যায় ছিল যে, অনেকে মুক্তিযুদ্ধে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সিভিল সমাজের এই বিচিত্র এবং সৃজনশীল অংশগ্রহণকে ‘মুক্তিযুদ্ধের ১৩নং সেক্টর’ বলে অভিহিত করে থাকেন। মুক্তিযুদ্ধের এই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে কিশোর উপযোগী করে এই বইয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের বিদেশি স্বজন এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মপ্রক্রিয়ার সাথে সেই স্বজনদের বহুমুখী কর্মকাণ্ডই এর বিষয়বস্তু। মুক্তিসনের পঞ্চাশতম বছরে এসে অবাক বিস্ময় নিয়ে তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতি তাকিয়ে থাকি আমরা। কি বিপুল কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের জন্য তারা তৈরি করেছিলেন জনসম্মতি! নতুন প্রজন্মের সামনে সেই ইতিহাস তুলে ধরতেই এই বই। আমরা কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করছি আমাদের সেই বন্ধুদের যাদের কথা জানি এবং যাদের কথা এখনো জানি না, বা জানতে পারিনি!
১৯৯২ সালের ১২ মে ঢাকাতে জন্ম নেওয়া আরিফ রহমানের পিতৃনিবাস ফেনী জেলার ছাগলনাইয়াতে। এনজিও চাকুরে বাবা, গৃহিণী মা আর একমাত্র ছােট বােনকে নিয়ে তার সংসার। ছেলেবেলায় বাবার সাহচর্যে মুক্তিযুদ্ধসহ সাহিত্য বিষয়ক বিভিন্ন বই-পুস্তক পড়ায় আগ্রহী হয়ে ওঠেন। বিষয়ভিত্তিক তথ্য সংকলন ও তা পর্যালােচনার মাধ্যমে যুক্তিনির্ভর সাবলীল লেখার জন্য অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যমগুলােতে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন এর মধ্যেই। মুক্তমনা ব্লগ থেকে লেখালেখির শুরু করে এখন নিয়মিত লিখে চলেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় বেশকটি পত্র-পত্রিকায়।