স্কুল লাইফে বিনোদনের উৎস বলতে বিটিভির দুপুর বেলার কার্টুন আর সন্ধ্যার ডাবিং করা বিজাতীয় সিরিজ বাদে ছিলো শুধু গল্পের বই। কখনও কিনে, কখনও ধার করে লুকিয়ে টুকিয়ে এমনকি ওয়াশরুমে দাঁড়িয়েও পড়তাম বই, কি এক ভয়ানক নেশা! আর আমার পড়া গল্পের বইয়ের একটা বিশেষ জায়গা দখল করে ছিলো সায়েন্স ফিকশন- ভালো মত বললে মুহম্মদ জাফর ইকবালের প্রথম ৪টা সমগ্রের ৩২ টা বই! সেই বইগুলো আমাকে যেন একটানে নিয়ে যেত চেনা- জানা পৃথিবীর বাইরে এক অন্য অদেখা ভূবনে, সেখানে কখনও আমি ফোবিয়ানের যাত্রী হয়ে নিকষ অসীম মহাশূণ্যে ছুটে চলেছি, কখনও ক্রোমিয়াম অরণ্যে খুঁজেছি মানব সভ্যতার বেঁচে থাকার সম্বল, কখনও উল্লাস করেছি ত্রিনিত্রির রাশিমালার সন্ধান পেয়ে, আবার নয় নয় শূন্য তিন পড়ে বুকে মোচড় মেরেছে, এক অতিমানবীর জন্য হাহাকার জেগেছে বুকে আবার নিদারুন আতঙ্কে শিউরে উঠেছি ট্রাইট্রন গ্রহের অনাগত আগুন্তুকের বিভীষিকায়! এই বইএ সংকলিত আটটি গল্প কৈশোরে ঐ বইগুলো পড়ার প্রচন্ড আনন্দময় অভিজ্ঞতার চিহ্নাবশেষ- আমার অনেক গুলো গল্প মুহাম্মদ জাফর ইকবালের মাল্টিভার্সেই ঘটছে, পড়তে গেলে টের পাওয়া যাবে। এছাড়াও সুদূর ভবিষ্যতে সমগ্র পৃথিবী 'ফেডারেশন' নামক একটি শাসনের আওতায় আসবে আর তার বিদ্রোহ করে 'রেজিস্ট্যান্স' নামক আরেকটি দল দাঁড়িয়ে যাবে- অনেক গল্পের ব্যাকগ্রাউন্ড থিমে এটা পাওয়া যায়। সামনে এই থিম নিয়ে বিশাল ক্যানভাসে কিছু লিখবো- এরকম ইচ্ছা পোষণ করি। এই গল্পগুলো লিখার সময় তীব্র আনন্দ পেয়েছি, আশা করি `সাইফাই' পড়তে যারা ভালোবাসেন তারাও উপভোগ করবেন। মোঃ আসিফ উর রহমান কাপাসিয়া, গাজীপুর।