ভূমিকা: একটা কবিতা আষাঢ় শ্রাবণ নামায়। একটা কবিতা হাজার হাজার ইচ্ছের ভার টানে। কবিতা নিজেই এক সাগর অভিমান। কবিতা ঘাসফুল। কবিতা ঘাস ফড়িং। কবিতা কখনো নদী, কখনো নীলাকাশ। কখনো বৃষ্টি, কখনো নীলরঙা ঘাসফুল। কখনো ঘাসফুলে শিশির বিন্দু। শুনেছি বৃষ্টির কাছে শিশির কণা দূর্বল আজীবন। বৃষ্টিতে রয় আগুন জলের খেলা। সে খেলায়ই হয়তো-বা জমে জমে হয়ে যায় মেঘ। কারো কারো কবিতায় নীল নিশ্বাসে ভারি হয়ে দেখা দেয় সুবহে সাদিকের ভোর। ভোরের আলোয় চিকচিক করে ঘাসের উপর শিশির বিন্দু। সে বিন্দু নিজের ভার বহন করতে না পেরে মেঘ ভেঙ্গেই পরলো, না রাত জাগা আকাশের নীরব কান্নার জল, খোঁজে না কেউ। তোলে না আঙুলের ডগায়। জানা হয় না তার গল্প ‘ঘাসফুলে শিশির বিন্দু' আমাদের অর্ন্তদৃষ্টি দিয়ে অনুভব করলে এই ক্ষুদ্র বিন্দুর মাঝেও আমরা প্রকৃতির এক অসাধারণ সৌন্দর্য আবিস্কার করতে পারি। অথচ সাধারণ চোখে এই সৌন্দর্য চোখে পরার মতো কিছুই নয়। তাই আমরা বলতে পারি সৌন্দর্য অনুভবের জন্য প্রয়োজন সুন্দর মন আর সৃষ্টিশীল মনন। কিছু কিছু মানুষের নির্মল হৃদয় আছে যা প্রকৃতি আর সমাজের সৌন্দর্য কিংবা অসংগতিগুলো কলমের তীক্ষ্ণ আঁচড়ে কাগজে ফুটিয়ে তুলে সবার দৃষ্টিগোচরে এনে দেয়ার অসাধারণ প্রতিভা বহন করে। তেমনি কিছু সৃষ্টিশীল হৃদয়ের গভীরে সৃষ্ট আবেগ আর অনুভূতির নির্যাশ আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। ঘাসফুলে শিশির বিন্দুতে তেমনই কিছু শিশির কণা কথা বলবে কবিতায়। তার লিখনী কলমের তীক্ষ্ণতার আঁচড়ে শিশির বিন্দুকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে পৌঁছে দেবে সকল সাহিত্য প্রেমীর দ্বার ডিঙিয়ে মন বাড়ির বৈঠকখানায়। আমাদের অশান্ত সমাজের মানুষের অস্থির আর অনুভূতিহীন হৃদয় গুলো আবার ভালোবাসা সজীবতায় নতুন ভাবে প্রাণ ফিরে পাওয়ার একটি যৌথ উদ্যোগ এই ঘাসফুলের শিশির বিন্দু। সুনন্দা শিরিন
জন্ম : ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬ ঢাকার সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনে। পৈতৃক নিবাস বরিশাল। বাবা : মোঃ মনসুর আলী। মা: সুলতানা রাজিয়া। স্বামী : প্রফেসর ড. হারুন অর রশিদ। একমাত্র ছেলে মাহবুব জামান সিয়াম ও দুই মেয়ে কিসমা মাহজুবা মাটি, ইলমা তাসনুভা মন। এ, ওয়াহেদ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি এবং মানিক মিয়া মহিলা কলেজ থেকে এইচ.এস.সি ও ব্রজমোহন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তার সহজ সরল উচ্ছলতায় তিনি ছিলেন শিক্ষকদের মধ্যমনি। লেখালেখির পাশাপাশি আবৃত্তি, অভিনয়, বিতর্ক, নাচ, সঞ্চালনাসহ সকল বিষয়ে ছিলো তার জোরালো অবস্থান। ক্লাস সেভেন থেকেই তার লেখা কবিতা প্রথম আলো, দৈনিক দক্ষিণাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্বনামধন্য পত্রিকায় প্রকাশ হতে থাকে। তার সম্পাদনায় প্রকাশিত প্রথম সংকলন বই ‘কবিতা কণ্ঠ’। তার বেশ কিছু যৌথ কাব্যগ্রন্থ রয়েছে। তার প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘কাব্যের কবিতা’।