অণু ভূমিকা: গাইতে গাইতে গায়েন হবার প্রচেষ্টা চলছিলো জীবনীপথের বিংশ শতাব্দীর মূলত: নব্বইয়ের দশকের শুরু হতে। এরপর গীতিকবি হবার খায়েশ। এলোমেলো অগোছালো বিড়ম্বিত কাঁটা ছেঁড়া পরিবর্তন-পরিবর্ধন-পরিমার্জন প্রক্রিয়ার শেষে প্রকৃতিবান্ধব ভাষা, স্বদেশের মুক্তিযুদ্ধ, দেশপ্রেম, সামাজিক অসঙ্গতি, মানবীয়া প্রেম ও বিকাশমান আধ্যাত্মিকতার উন্মেষী মিশেল স্বরূপ বাস্তবতা রাজনীতির দোর্দণ্ড প্রতাপে কবির ভাবনাঙ্কুরণ ঘটিয়েছে। বন্ধুদের উৎসাহিত লজ্জা প্রজ্ঞাপন, অগ্রজ অনুপ্রেরণা ও অনুজ আন্তরিকতার নিদর্শনী রূপায়িত বাস্তবতা বইটি। মহান প্রতিপালক এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহপাকের দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া। বাবা মায়ের উছিলায় পৃথিবী দেখানোর জন্য। ভিন্নাতিভিন্ন জীবনী সংগ্রামের বাহনরূপে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থটির উপাদানসমূহ সার্বিক দায় দায়িত্ব প্রসূত স্মৃতির বালখিল্য বাড়াবাড়িও বটে! সময় সংক্ষিপ্ততা ও বিবিধ সীমাবদ্ধতার কারণে মনের প্রকৃত মাধুরি মেশানো যায়নি, ভুল ত্রুটিও থাকা স্বাভাবিক। অপূর্ণতাকে আগলেই সম্পূর্ণতাকে ছুঁয়ে যাবার প্রয়াস। বহুধা গুণে গুণান্বিত। স্থপতি হাসনাইন মনজুর মূর্শিদ ইমন ভাইকে ধন্যবাদ প্রচ্ছদ বাস্তবতার জন্য। প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সংযোগের সেতু হিসেবে বন্ধু কবি সজল মনিরকে হৃদ্যতা এবং স্নেহের অনুজ জহিরুল ইসলাম প্রশান্তকে বিশেষ ধন্যবাদ, সার্বিক পূর্ণতা বিষয়াদি নিস্পন্নকারী হিসেবে পাশে থাকার জন্য। প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সকল পর্যায়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। গোলাম মোর্শেদ লায়ন
উত্তরীয় সুফলনশীল দিনাজপুর জেলাধীন জনযোগাযোগের জংশন পার্বতীপুর উপজেলায় সতেরই অক্টোবর উনিশশো ছিয়াত্তর কবির জন্ম পিতা : মৃত মকবুল হোসেন ও মাতা : মিসেস হাছিনা হোসেন। চার সন্তানের মধ্যে তিনি তৃতীয় ৷ স্থানীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষায়তন জ্ঞানাঙ্কুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি; নটরডেম কলেজ, ঢাকা হতে এইচএসসিতে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরকৌশল বিভাগে অধ্যয়ন করেন। তিনি একাধারে গায়ক, গীতিকার ও সুরকার এবং সর্বোপরি সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ইউকসু)-এর সর্বশেষ নির্বাচিত ভি পি (সহ-সভাপতি)।