ফ্ল্যাপের লেখা: একটা গান লিখো আমার জন্যে এ ধারায় লেখা হলো : রক্ত লাল রক্ত লাল।' প্রথমটা দাবি, আর্তি এবং সত্য প্রতিষ্ঠার স্পৃহা। দ্বিতীয়টি নির্মল সৌন্দর্য। এর মাঝের ফাঁক সংগ্রাম; সার্বভৌমত্ব অর্জনে স্বস্তি-স্থিতি-শক্তির উন্নতি। এই উন্নতির অবয়ব নির্মাণের নয়ন : বাঁশপাতা। অতএব এইভাবে এ কাব্যগ্রন্থের শিরোনাম হয় : সংগ্রামের বাঁশপাতা। এই বাংলায় দুটো গণজাগরণ। প্রথমটা শ্রীচৈতন্যদেব কর্তৃক দ্বিতীয়টি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক। এ পর্বে শ্রীচৈতন্যদেবের উচ্চারণ : কর গিয়া ভক্তের বর্ণন।' একথা চৈতন্যভাগবত থেকে পাওয়া। আমরা দ্বিতীয় যুগের, বৃন্দাবন দাসের উত্তরসূরী। এ যুগের ভক্তমহিমা রচনাই আমার মূল লক্ষ্যসূত্র। এ গ্রন্থ তাই গো তাই! বাঙলা ভাষার অতি দীনজন, ভক্তমহিমা অর্থাৎ দেশব্রত সেবকের মর্মগাথার স্থাপত্য ভাস্কর্য নির্মাণের রসদ যথা ধী, মেধা-প্রজ্ঞা এবং ভাষাগত জ্ঞানে সতত দুর্বল আমি। এ কথা করজোড়ে স্বীকার করি। এ গ্রন্থের পরিকাঠামো নির্মাণের উৎস : কবীর চৌধুরীর একটি অনূদিত কবিতা আমার অন্তর জগতের প্রবল আভা।' এ দিক থেকে বাঙলা কবিতার জগতে এ এক নিরীক্ষা। উদার পাঠকের হাতে নম্রচিত্তে এ আমার অতিক্ষুদ্র নিবেদন, গ্রহণ করো । জয় বাংলা...