কিছুকিছুবাণী যদি অন্য কোনও লেখকের বাণীর সাথে প্রায় মিলে যায় তবে সেটার জন্যে কেউ দ্বায়ী নয়। কেননা উদাহরণ সরূপ আমি তোমাকে ভালোবাসি এই বাক্যটি সর্বপ্রথম কে উচ্চারণ করেছে কারোর জানা নেই, তারপরও সবাই এমন বেশ কিছুকিছু বাক্য মনের অজান্তেই ও বিদ্যা অর্জন ছাড়াই উচ্চারণ করে কিšদ সেটা নকল নয় কারণ সেটা তার উপলব্ধি, যুগে যুগে কালে কালে সত্য উপলব্ধি চিরকাল সত্যই হয় আর সত্য এক অদ্বিতীয় বলেই মিল খুঁজে পাওয়া যায়। প্রচলিত বিষয় নিয়ে আমার আগেও বহু লেখক ছিলেন, আমার পরেও বহু লেখকের আবির্ভাব হবে ও লেখবে। যদি নকল বলে কিছুথাকতো তাহলে কেউ এক লাইন গল্প, ছড়া, কবিতা বা অন্য কোনও বাণী লেখার সাহস পেতো না, কারণ আমি যেটা আজ চিন্তা করেছি সেটা কেউ না কেউ হয়তোবা আগে ও পরে বিভিন্ন ভাষায় প্রকাশ করেছে। আসলে চিন্তাভাবনা ও লেখার শেষ নাই। সবাই লেখক আবার সবাই নকলবাজ কারণ আমরা প’কৃতি থেকেই মূল বিষয়টি আহরণ করে প্রকাশ করে থাকি। প’কৃতিই আমাদের প’কৃত শিক্ষাগুরু আমি তাঁর শিষ্য হয়ে অনুকরণ ও অনুসরণ করে থাকি আর কিছুনয়। পৃথিবীর সকল বাণীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে অনেক দিন ধরেই ভাবছি নিজস্ব বাণী নিয়ে একটি বই করবো। কিšদ আমার আগে অনেকেই অনেক বাণীর বই লিখে গেছেন। কেউ বা নাম দিয়েছেন— শ্রেষ্ঠ বাণী, অমূল্য বাণী, সফলতার বাণী, অমর বাণী, কেউ বা চিরন্তন বাণী, আবার কেউবা নাম দিয়েছেন— কালজয়ী বাণী, এভাবে বহু নামে বাণীর বহু বই পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তাই ভাবলাম এখন কি উপায়? এসব নামে তো বাণীর বই অনেকেই রচনা করেছেন, সম্পাদনা করেছেন এবং সেই নাম তো আর আমি ব্যবহার করতে পারি না। অবশেষে বহু চিন্তা করে একটি নাম বের করলাম, এবং দেখলাম এই নামে কপিরাইট ও আইএসবিএন নাই, তাই নামটি কাজে লাগাই এবং সেই আলোকেই ্রকালজয়ী বাণী— অমর বাণীচিরন্তন বাণী” নামক গ্রন্থটির কাজ হাতে নেই। বাণীর বইগুলো জগৎ সেরা বইয়ের ভিতর অন্যতম হিসেবে ধরে নেয়া হয় কারণ বাণীর প’কৃত অর্থ ও মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে অমর, কালজয়ী ও চিরন্তন ভাব এই তিনটি বিষয় থাকতে হয়। কারণ বাণী হয় কালজয়ী, বাণী হয় অমর ও বাণী হয় চিরন্তন। বাণী নিয়ে বিশ্বে অনেক মহামূল্যবান বইও আছে। পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলোও এক একটি সত্যবাণী। জীবনকে বদলে দেয়ার মতো বাণীই প’কৃতপক্ষে সত্য বাণী বা জীবন্ত বাণী। আধ্যাত্মিকতা ও জ্ঞানের গভীরে প্রবেশ করার মতো সুনির্বাচিত বাণীগুলোই চলার অত্যাবশকীয় পাথেয় হয়ে যায়। আসুন বাণী সম্পর্কে একটুধারণা নেই। কথা, উক্তি (আকাশবাণী বা দৈববাণী), উপদেশপূর্ণ বা স্মরণীয় সংক্ষিপ্ত বাক্যালাপ (কবির বাণী বা মহাপুরুষের বাণী), অথবা বাণীর আরাধনা নিয়ে আছে অনেক কথা। আদেশ, কথা, হুকুম, পদ, বোল, জবান, শব্দ, ঘোষণা, দলগত সংকেত শব্দ, আভাস, বাগধারা মূলক কথা প্রকাশ, সুনিপুণ কলাকেদ্বশলি ভাষায় প্রকাশ করা ভাব। যেমন— বচন, কহা, বিবৃতি, বাক্য, কহন, নিগদ ও নীতিবচন এগুলোই বাণী।