যাঁর কৈশোরের লেখা দেখে রাজ্জাক হাওলাদার, দুলাল সরকারের মতো গুণী মানুষ মুগ্ধ হয়েছিলেন, সেই অতিপ্রিয় কবি শ্যামলকুমার সরকারের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘জাগৃতির কবিতা’ প্রকাশ করা আমার কাছে এক আশাতীত ও বর্ণনাতীত সৌভাগ্য। এই বইটি খুবই স্বতন্ত্র। এখানে মানুষের জীবনের আনন্দ ও অস্তিত্ব দুই-ই যেন কবিতার প্রাণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ যেন পার্থিব জীবনের এক পূর্ণতার জাগৃতি! সকল বয়সের পাঠক-পাঠিকার মননশীল কবিতা নিয়ে এই কাব্যগ্রন্থের প্রকাশ। সবচেয়ে আনন্দের বার্তা এই যে, সম্প্রতি ৯ ই জানুয়ারি, ২০২২ খ্রি. কবি শ্যামলকুমার সরকারের তিনটি কবিতা রুশ ভাষায় অনূদিত হয়। অনুবাদ করেছেন বিশ্বের সুনামধন্য কবি করিম রহিম (করিমভ); যিনি ইউরেশিয়ান পিপলস অ্যাসেম্বলি'র যুগ্ম-চেয়ারম্যান, ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অফ পোয়েটস পুরষ্কার (রোমারিয়া) অর্জন করেছেন; যিনি ডিপ্লোমা ‘ট্রফি ফর দ্য প্রোমোশন অফ লিটারেচার অ্যাড দ্য গ্লোবাল লেভেল’ (গিনেস বুক অফ রেকর্ডস)-সহ একাধিকবার স্বর্ণপদক বিজয়ী কবি। এরপর ২৪শে জানুয়ারি, ২০২২ খ্রি. কবি শ্যামলকুমার সরকারের কবিতা আরবি ভাষায় অনূদিত হলে, ইরাকের বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্র ‘আল-শারক্ ’- এর ৫ম পাতায় কবির ছবিসহ কবিতা ছাপানো হয়। এই অনুবাদ করেছেন- মিশরীয় প্রখ্যাত কবি সামী আবুবদর। কাবির সেই বৈশ্বিক আলোড়নের কবিতা থেকে দু’টি কবিতা- ‘ভালোবাসা’ ও ‘অস্তিত্ব’- এই কাব্যগ্রন্থে সংকলিত করা হয়েছে।