দীর্ঘ পথ চলা। ঘটনা বহুল জীবন। দেশ—বিদেশ ভ্রমণ ও বহু জনপদের মানুষের সহিত মেলামেশা ও কাজ—কর্ম। জীবনকে বিভিন্ন কোণ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। জীবনের সব সুখ—দুঃখ, হাসি—কান্না, ভাঙা—গড়া ও সংগ‘ামকে অতিক্রম করে সফলতা অর্জনের বিরামহীন প‘চেষ্টায় নিজকে আবিষ্ট করে রেখেছিলাম। মানুষের মাঝে সৃজনশীল মেধা থাকে। সেটা হতে পারে শিল্প, সাহিত্য, চিত্রকলা যে কোন মাধ্যম। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। এই মেধাকে বিকশিত করার জন্য প‘য়োজন হয় সময়, সুযোগ ও অনুকূল পরিবেশ। অবশেষে, ২০১৭ সালে ফেসবুকের মধ্যমে আমার প‘াক্তন পি‘য় ছাত্রী কবি সেলিনা আকতার শেলীর সাথে আমার পুনঃসংযোগ হয়। সেই আমাকে প‘থম জানালো যে, আমার মধ্যে কাব্যিক প‘তিভা রয়েছে। আমি ইচ্ছা করলে কবিতা লিখতে পারি। প‘কৃতপক্ষে, আমি নিজেও একজন ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র ছিলাম। সাহিত্যচর্চার প্রতি আমার অদম্য আগ‘হ রয়েছে। তারই অনুপে‘রণায় আমার কাব্য জগতে পদচারণা শুরু। তাই জীবনের সুখ—দুঃখ, হাসি—কান্না, পে‘ম—বিরহ, আঘাত ও সংগ্রামসহ সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গগুলিকে কবিতাগুচ্ছের মধ্যে আবদ্ধ করতে চেষ্টা করলাম। তারই ফলশ‘ম্নতিতে এই যেদ্ধথ কাব্যগ্রন্থ; যেখানে কবি সেলিনা আকতার শেলীর বাইশটি ও আমার বাইশটি কবিতা সংকলন করা হয়েছে। ইতোপূর্বে, কবি সেলিনা আকতার সহ অন্যান্য প‘খ্যাত কবিদের সাথে আমার আরও তিনটি যেদ্ধথ কাব্যগ‘ন্থ বের হয়েছে। সেগুলি হচ্ছে—কবিতার মর্মকথা, বইয়ের পাতায় ছন্দকাব্য এবং কৃষি ও কৃষক। বলাবাহুল্য সব কবিতাগুলি আমার সৃজনশীল সাহিত্য জগতে পদ চারণার সূচনার লগ্নে লেখা হয়েছে। আগামীতে ভালো কবিতা, গল্প, নাটক ও উপন্যাস লেখার আশা রাখি। আমার পথ চলায় আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা একান্ত কাম্য।