মানুষকে খুব কাছ থেকে দেখেছি, যারা নিঃস্বার্থভাবে অন্যকে আনন্দ দিতে ভালোবাসে। অন্যের জন্য স্বার্থহীনভাবে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে ভালোবাসে। এ্যানি আক্তার তাদেরই একজন। তিনি কবিতা গড়তে ভালোবাসেন, ভালোবাসেন কবিতা পড়তে। কখনো নিজের সৃষ্টি কখনো-বা অন্যের সৃষ্টি। কবিতা এক অমৃত। সেই অমৃত পাঠের মধ্যে দিয়ে নিয়মিত অসংখ্য শ্রোতাকে মুগ্ধতায় ভরিয়ে রাখেন এ্যানি আক্তার। ভীষণ সুন্দর কণ্ঠ হয়ত সবার জন্য সৃষ্টিকর্তার দান হয় না, যাদের হয় তাদের অনেকেই সেই কন্ঠের কদর বুঝে না। পরিচর্যার অভাবে সেই সম্বল আড়ালে যায়। কিন্তু এ্যানি আক্তারদের মতো যারা কন্ঠের প্রতি যত্নশীল হয়, তারাই আমাদের কবিতা শুনিয়ে মুগ্ধ করে। আর আমি এবং আমরা ক্লান্তির ভিড়ে শান্তি পাই; কবিতার দেশে হারাই। বড্ড বিনয়ী আর মিশুক স্বভাবের এই সুন্দর কন্ঠের রানী আমাদের ছেড়ে দেবেন বেশকিছু কবিতার ভিড়ে। আমরা সেই ভিড়ে কবিকে আর তার অনুভূতিকে খুঁজে পাবো। ‘পরের জন্মে আবার আসিস’ কবিতার মত সম্ভাবনাময় কবি এ্যানি আক্তার কবিতাগুচ্ছ গড়ে মলাটাবদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর সেই কবিতাগুচ্ছের নাম রেখেছেন ‘জলকাব্য’। কবির কাব্যগ্রন্থ ‘জলকাব্য’ প্রথম কবিতার হলেও নিঃসন্দেহে তাতে আমরা পাবো কবিতা চর্চার দারুণ বহিঃপ্রকাশ। যা আমাদের দারুণভাবে মুগ্ধ করতে পারে। কবির জন্য এবং তার কবিতার বই ‘জলকাব্য’র জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইল।