রশীদুল ইসলাম চৌধুরী। আমার প্রিয় ছাত্রদের মধ্যে অন্যতম। ব্যবসায় প্রশাসনের ছাত্র হলেও সাহিত্যের জগতে তার বিচরণ ছাত্র জীবন থেকেই। চাকরীগত ব্যস্ততার কারণে এর ব্যাপকতা কিছুটা কমলেও বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি এবং বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহণের মাধ্যমে তার সাহিত্য চর্চাকে জিইয়ে রেখেছে। অবসরের পর সে তার লেখনি গ্রন্থাকারে প্রকাশ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারে তার লেখা উপন্যাস ‘জীবনের জন্য’। দীর্ঘ চাকরী জীবনের বিশাল অভিজ্ঞতার সঙ্গে মনোমুগ্ধকর একটা কাহিনীর সম্মিলন ঘটিয়ে পাঠকদের জন্য রচনা করেছে অসাধারণ একটি উপস্থাপনা। সহজ সরলও প্রচলিত অতি সাধারণ কথায় রচিত এ উপন্যাসখানি সকল শ্রেণির পাঠকের মনের খোরাক যোগাবে বলে আমার ধারনা। উপন্যাসে একনিষ্ঠ প্রচেষ্ঠা, সততা আর অধ্যবসায় মানুষকে প্রাপ্তি আর প্রতিষ্ঠা দিতে পারে, এটা যেমন সে দেখিয়েছে; তেমনি উপস্থাপন করেছে একটি নিকষ প্রেমের উপাখ্যান। গল্পের প্রয়োজনে কিছুটা নষ্টালজিকের আশ্রয় নিলেও উপন্যাসের পরতে পরতে অনেকটাই হাসির উদ্রেক করেছে, আছে অনুসরণীয় প্রথিতযশা ব্যক্তির উক্তি, উপদেশ বাণী আবার শেষাংশে পাঠকের চোখ ভিজিয়ে দেবারও প্রয়াস পেয়েছে। সব মিলিয়ে তার উপন্যাসটি পাঠকের বই পড়ার আনন্দের উপজিব্য হবে একথা নির্দিধায় বলা যায়। ‘জীবনের জন্য’ উপন্যাসের মাধ্যমেই ঔপন্যাসিক রশীদুল ইসলাম চৌধুরী পাঠক প্রিয়তায় স্মরণীয় হয়ে থাকবে এটাই প্রত্যাশা করছি। শুভকামনা তার জন্য।