"ওয়্যারলেস টু ক্যাশলেস”- পার্ট মেমোয়ার্স, পার্ট বিজনেস থিংকিংয়ের বই। বাংলাদেশের টেলিকম ও এমএফএস ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার ২৬ বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে লেখক এই বইতে নব্বইয়ের দশকের ওয়্যারলেস ফোন থেকে বর্তমানের ক্যাশলেস অর্থব্যবস্থায় বিবর্তনের চালচিত্র তুলে ধরেছেন। বইটি বিজনেস স্টাডিজের শিক্ষার্থী কিংবা কর্পোরেট প্রফেশনালদেরকে যেমন দেবে গভীর অন্তর্দৃষ্টি, তেমনি দেশের টেলিকম ও এমএফএস ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে সাধারণ পাঠকদের নানা কৌতূহলও মেটাবে।
ওয়্যারলেস টু ক্যাশলেস— দুটি দিক সমান্তরালে তুলে ধরেছে। একদিকে, ইনসাইডারের চোখে বাংলাদেশের টেলিকম ও এমএফএস ইন্ডাস্ট্রির শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত চড়াই-উতরাই-এর বর্ণাঢ্য ইতিহাস ও পর্যালোচনা, অন্যদিকে দীর্ঘ কর্পোরেট ক্যারিয়ার ও এন্টারপ্রেনারশিপের অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ, ভিশনারি এক বিজনেস থিংকারের ব্যক্তিগত জার্নির ঘটনাবহুল ও চমকপ্রদ সব কাহিনি।
কেন অধিকাংশ স্টার্ট-আপ সফলতার মুখ দেখে না? যেকোনো ব্যবসার সেলস-এর কম্প্রিহেন্সিভ মডেলটি কেমন হয়? ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্যে কী ধরনের টেকসই বিজনেস মডেল প্রয়োজন? মার্কেট প্ল্যান কীভাবে তৈরি করতে হয়? ডিএফএস-এর আসন্ন ইকোসিস্টেম কেমন হতে যাচ্ছে কিংবা বাংলাদেশের ফিন্যানশিয়াল সেক্টরের ভবিষ্যৎ গতিপথ কোন দিকে? এ সকল প্রশ্নের ইনসাইটফুল কিন্তু প্রাঞ্জল আলোচনা যেমন বইয়ের বিষয়বস্তু, একইসঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইন্ডাস্ট্রির অন্দরমহলের নানা অজানা কাহিনি।
বাংলাদেশের টেলিকম ও এমএফএস ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন লিডিং পজিশনে কাজের অভিজ্ঞতা রেজাউল হোসেনের। গ্রামীণফোনের ডিস্ট্রিবিউশন সেলস-এর প্রধান হিসেবে জিপিডিসির মতো অনেক গুরুত্বপূর্ন প্রজেক্টের নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। ছিলেন সিটিসেলের হেড অফ সেলস এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন এবং এয়ারটেলের ডিস্ট্রিবিউশন সেলসের প্রধান কর্মকর্তার দায়িত্বে। গ্রাহক সংখ্যার বিচারে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এমএফএস কোম্পানি বিকাশের শুরু থেকে তার ছিল অগ্রণী ভূমিকা; পালন করেছেন বিকাশের সিসিও’র দায়িত্ব। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এমএফএস কোম্পানি নগদ-এর সম্পূর্ণ বিজনেস স্ট্রাকচারও তার হাতে তৈরি। দেশের অগ্রগণ্য সেলস বিশেষজ্ঞ তিনি। মার্কেট ট্রান্সফর্মেশন এক্সপার্ট হিসেবেও দেশ-বিদেশে স্বীকৃত রেজাউল হোসেন মনে করেন: Successful transformation of technology depends on understanding customer's behavior.