১৮৯৬ সালে গুয়েলমো মার্কনি ইতালি থেকে ব্রিটেনে যান। মার্কনির সঙ্গে থাকা বিচিত্র সব বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি দেখে সীমান্তের কাস্টমস অফিসাররা বিভ্রান্ত হন। তারা বুঝতে পারেন না, এসব যন্ত্রপাতি নিয়ে কেউ ভিনদেশে কেনো যাবে? কিন্তু এর দুবছরেরও কম সময়ের মধ্যে সেই সব যন্ত্রপাতির মাধ্যমেই ব্রিটেনে মার্কনি তাঁর নিজের কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর আবিষ্কৃত বিনা তারে টেলিগ্রাফের মাধ্যমে দূরবর্তী স্থানে মেসেজ পাঠানোর পদ্ধতিটি দ্রুতই তাঁকে বিশ্ববিখ্যাত করে তোলে। যন্ত্রপাতি, বিশেষ করে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির প্রতি ছোটবেলা থেকেই অনেকটা মোহাবিষ্ট ছিলেন মার্কনি। ইতালিতে নিজের বাড়িতে তাঁর আলাদা একটা ঘর ছিল। সেখানে দিনের পর দিন তিনি বুঁদ হয়ে পড়ে থাকতেন এইসব যন্ত্রপাতি নিয়ে। গবেষণা করতেন বেতার তরঙ্গ নিয়ে। এভাবেই একসময় আবিষ্কার করে ফেললেন বেতার যন্ত্র বা রেডিও। রেডিও আবিষ্কারের পরই কিন্তু থেমে থাকেননি, বরং কাজ করেছেন ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন নিয়ে। তাঁর এই প্রযুক্তি ব্যবহার হয়েছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়। দ্রুতই মার্কনির খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে দুনিয়াজুড়ে। মূলত, বেতার যন্ত্রের আবিষ্কারক মার্কনিকে নিয়ে এই বই। শৈশব থেকে তাঁর জীবন, কর্ম ও অর্জনের বিষয়গুলো সহজ ভাষায় অনেকটা ছোটদের কথা মাথায় রেখে লেখা হয়েছে। বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে শিশু-কিশোরদের আগ্রহী করে তুলতেই নেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগ। আগামীতে এই সিরিজের আরও কিছু গ্রন্থ প্রকাশের পরিকল্পনাও রয়েছে।