পশ্চিমা সভ্যতা আজ বিজয়ী শক্তি। তার রয়েছে চোখ-ধাঁধানো প্রযুক্তি, অভিনব জীবনদর্শন। মহাকাশ পর্যন্ত তারা জয় করে ফেলেছে। অত্যন্ত দাপটের সাথে পশ্চিমারা এখন ছড়ি ঘোরাচ্ছে পুরো দুনিয়া জুড়ে। মুসলিম বিশ্বকেও তারা করায়ত্ব করে ফেলেছে। পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাবে ইসলামি তমদ্দুন কালের স্রোতে হারিয়ে যেতে বসেছে। মুসলিম তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ফিরিঙ্গিপনার প্রবল আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। এহেন পরিস্থিতে আমাদের করণীয় কী? আমরা কি পশ্চিমাদের দাপুটে সভ্যতার কাছে সবকিছু সঁপে দেব? আত্মসমর্পণ করে নেব পশ্চিমা সংস্কৃতির সামনে? ইসলাম সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি জীবনব্যবস্থা। এর রয়েছে পৃথক সভ্যতা ও সাংস্কৃতিক কাঠামো। রয়েছে আলাদা সমাজব্যবস্থা। তাই একজন সত্যিকারের মুসলিম কখনো ফিরিঙ্গি সভ্যতার আনুগত্য করতে পারে না। বিলাতি সভ্যতার অনুকরণ করে ইসলামে মহান ভাবধারাকে বিসর্জন দিতে পারে না। তাকে অবশ্যই পশ্চিমা স্রোতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। কিন্তু কিভাবে সে অগ্রসর হবে? কোন পন্থায় আসবে ইসলামের পুনর্জাগরণ? এসব দিকই খোলাসা করা হয়েছে “ইসলাম ও পাশ্চাত্য সভ্যতার সংঘাত” বইটিতে। মুহাম্মাদ আসাদ (রহ.) খুব স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন ইসলামি কর্মধারা। বইটিকে বলা যায় “ইসলামি সভ্যতার ইশতেহার”। কর্মবীর মুসলিমদের চিন্তার খুরাক জুগাতে বইটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে ইন-শা-আল্লাহ।