আলোচ্য গ্রন্থে মোট ১৬ টি অধ্যায় এবং সংযোজনী অংশে (পরিশিষ্ট) ১১টি অতি প্রয়োজনীয় সংযোজনী যোগ করা হয়েছে। বইয়ের শেষাংশে সহায়ক গ্রন্থাবলী এবং যেসমস্ত পত্র-পত্রিকা, গবেষণা কর্ম ও ওয়েবসাইটের সাহায্য নেয়া হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রন্থের মূল অংশে ভাষা আন্দোলনের পুরো ইতিহাস আলোচনার পাশাপাশি ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অনবদ্য ভূমিকা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। এখানে ভাষা আন্দোলনের প্রথম পর্ব, দ্বিতীয় পর্ব, তৃতীয় পর্ব, ২১ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী পর্ব এবং চূড়ান্ত পর্বে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা, সংশ্লিষ্টতা,ভাষা আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ও কর্মকান্ড নিয়ে পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন, প্রথিতযশা ভাষা‣সনিক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, লেখক, শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং রাজনীতিকদের স্মৃতিচারণ, বিভিন্ন লেখা, প্রবন্ধ, গ্রন্থকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ভাষা আন্দোলনকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে বঙ্গবন্ধু যে সমস্ত সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন এবং যেসমস্ত প্রতিষ্ঠানের সাথে তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন বিশেষ করে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ, পূর্ব পাকিস্তান গণতান্ত্রিক যুবলীগ, তমদ্দুন মজলিস, ১৫০ মোগলটুলী ওয়ার্কার্স ক্যাম্প, জুলুম প্রতিরোধ কমিটি প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের প্রাসঙ্গিক বিষয়াবলী আলোচনা করা হয়েছে।
জনাব মোহাঃ আনিছুর রহমান একজন পরিশ্রমী সত্যানুসন্ধানী লেখক ও গবেষক। তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সদস্য। ২৯ তম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারে যোগদান করেন। তিনি এনসিটিবি অনুমোদিত একাদশ -দ্বাদশ শ্রেণির এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির বেশ কয়েকটি বইয়ের লেখক। অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি ভাষা আন্দোলন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে গবেষণা করেন। ১৭ মার্চ ২০২২ খ্রিস্টাব্দে তার ১.ভাষা আন্দোলন ও সর্ব স্তরে বাংলা প্রচলনে বঙ্গবন্ধু এবং ২. মুজিব মানে স্বাধীনতা মুজিব মানে বাংলাদেশ শিরোনামে দুটি গবেষণা গ্রন্থ প্রকাশিত হয়।