... ইদানিং অনেক রাত করে বাসায় ফেরে পরাগ। চোখেমুখে ক্লান্তি নিয়ে এসে বলে, ‘তিথী ভাত দাও।’ প্রথম দু-তিন দিন আমি না খেয়ে অপেক্ষা করেছি। পরে সে-ই বলেছে যেন উপোস করে বসে না থাকি। জিজ্ঞেস করলে বলে, ‘কিছু জরুরি কাজ পড়েছে।’ কোথায় যায়, কী করে-জিজ্ঞেস করলে সযত্নে এড়িয়ে যায়। আমি রাগ করলে তেমন একটা গা করে না। গা জ¦ালা করে আমার। স্বভাবগতভাবেই আমি ঝগড়ায় খুব একটা সুবিধে করতে পারি না। তবুও দু-একদিন ঝগড়া বাধিয়ে তার ভেতরের কথা বের করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সে কোন পাত্তাই দেয়নি। বরং হালকা তাচ্ছিল্য নিয়ে বলেছে, ‘অনেক রাত হয়েছে, ঘুমাও তো।’ গুমোট অভিমান নিয়ে শুয়ে পড়েছি উল্টোদিকে ফিরে। এভাবে আর কতদিন! আর যাই হোক, অবহেলা সহ্য করে সংসার করা যায় না।...
“...পানিউমদা গ্রামেরই তালুকদার বাড়ির মেয়ে শারমিন। সে গ্রামের স্নিগ্ধ-সুন্দর মেধাবী মুখ। তার সাথে রায়হানের গভীর প্রেমের সম্পর্ক সেই স্কুল জীবন থেকে। রায়হান কলেজে আর শারমিন দশম শ্রেণিতে পড়াবস্থায় তাদের প্রেম হয়। প্রেমও যেই সেই প্রেম না। একজনকে ছাড়া আরেকজনের জীবন ভাবনারও অতীত। অথচ সেই শারমিন আজ বাড়িতে বসে গুমরে গুমরে কাঁদছে। তার স্বপ্নের পুরুষ রায়হানের আজ গায়ে হলুদ। বিয়ে হচ্ছে অন্য কারো সাথে।...”
এমনই সামাজিক-সাংসারিক, প্রেম-বিচ্ছেদ, চাওয়া-পাওয়া নিয়ে দশটি গল্পের চৌম্বিক আকর্ষণে রহমান সাঈদ-এর কলেজের করিডোরে বইটি সাজানো। আশা করা যায় লেখক তার পাঠকদেরকে মুগ্ধতায় ভরিয়ে দিতে সক্ষম হবেন।