ফ্ল্যাপ : দরিদ্র পরিবারের ছেলে ফারুক। জেলা শহরের সরকারি স্কুলে ক্লাস সিক্সে ভর্তি হয়েছে। স্টেশনে পার্টটাইম পত্রিকা বিক্রি করে পড়াশোনার খরচ চালায় সে। মহাজনের বাড়িতে তার বিধবা রুনু ফুফু খাদেমার কাজ করে। একদিন ধুমধাম করে মহাজনের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। রাত হয়ে যাওয়ায় ফারুক ফুফুকে ডাকতে বিয়েবাড়িতে যায়। সেই রাতেই হারিয়ে যায় নতুন বউয়ের গহনা। গহনা চুরির অপবাদ এসে পড়ে ফারুকের ওপর। স্কুল থেকে ফেরার পথে মহাজনের ভাই তাকে আটক করে। তান্ত্রিক এনে বাটি চালান দিয়ে ফারুককে চোর হিসেবে প্রমাণ করতে চায়। ফারুককে চুরির অপবাদ থেকে মুক্ত করতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় আনাস ও তার বন্ধুরা। কিন্তু এই কিশোর দল কি পেরেছিল ক্ষমতাবান মহাজনের সাথে লড়তে? ফারুককে মুক্ত করতে? ফ্ল্যাপ : ভীতু শামিম নির্জন গা ছমছমে বাঁশ বাগানে একটা ভয়ংকর ভূত দেখে পড়িমরি করে ছুটে আসে। গ্রামে একের পর এক চুরি হতে থাকে। চোরের সাথে কি ভূতের সম্পর্ক আছে? আনাসের দল বাঁশ বাগানের ভূত রহস্য উদ্ঘাটনে নেমে পড়ে। অন্যদিকে আনাসের বোকা চাচা সোনার মোহর নিয়ে জিনের বাদশাহর সাথে দেখা করতে যান। জিনের বাদশারূপী ঠগবাজের পাল্লায় পড়ে যান তিনি। কিশোর দল কি পেরেছিল চাচাকে উদ্ধার করতে? তারা কি পেরেছিল বাঁশ বাগানে ভূতগুলোর রহস্য উদ্ঘাটন করতে? ফ্ল্যাপ : নুর হোসেন আলোর ম্যাজিক বাক্স বানিয়ে মেলায় বিক্রি করছিল। মেলায় নুরের সাথে দেখা হয় আনাস ও তার বন্ধুদের। শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত নুর স্কুলে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে। আনাসরা তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। কিন্তু নানা রকম প্রতিবন্ধকতায় কিশোর দলটি কি সফল হতে পেরেছিল? অন্যদিকে বার্ষিক পরীক্ষায় শামিম গণিতে ফেল করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। ধরা দেয় অন্ধকার জগতের মানুষদের কাছে। একসময় দুর্ধর্ষ মানুষগুলোর কাছ থেকে সে পালিয়ে বাঁচতে চায়। সে কি অন্ধকার জগতের মানুষদের কাছ থেকে পালিয়ে বাঁচতে পেরেছিল? ফ্ল্যাপ : আনাসের সমুদ্র দেখার ইচ্ছে বহু দিনের। ছোট চাচ্চুর সাথে সমুদ্রে যাওয়ার একটা সুযোগ আসে, কিন্তু বাধা দেন মা। শেষ পর্যন্ত কি আনাস সমুদ্র দেখতে যেতে পেরেছিল? অন্যদিকে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া গ্রামগুলোতে ত্রাণ দিতে গিয়ে উমারের দল জানতে পারে যে, মেম্বার ত্রাণের চাল লুকিয়ে রেখেছে। কিশোর দল মেম্বারের বাড়ি থেকে লুকোনো ত্রাণের চাল উদ্ধারের চেষ্টা করে। কিন্তু তারা কি পেরেছিল তা উদ্ধার করতে?
ড. উম্মে বুশরা সুমনা, জন্ম গাইবান্ধায়। পিতা মুহম্মদ মকবুল হোসেন; মাতা নুরজাহান আক্তার। শিক্ষক পিতার অনুপ্রেরণাতেই লেখালেখিতে আসা। গাইবান্ধা সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি এবং গাইবান্ধা সরকারী মহিলা কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী অনুষদে ভর্তি হন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী অনুষদের ক্লিনিক্যাল ফার্মেসী ও ফার্মাকোলজী ডিপার্টমেন্ট থেকে পি.এইচ.ডি ডিগ্রী লাভ করেন। বর্তমানে একটি বেসরকারী ইউনিভার্সিটির ফার্মেসী ডিপার্টমেন্টে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসেবে কর্মরত আছেন। ছোটবেলা থেকে সাহিত্যের প্রতি তার আগ্রহ ছিল। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় ডেইলি স্টার পত্রিকার তার প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়। দৈনিক যুগান্তর, ইত্তেফাক, নয়া দিগন্ত, কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, জনকণ্ঠসহ বেশ কিছু জাতীয় পত্রিকায় আর ব্লগে বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ের উপর তার লেখা কলাম এবং গল্প প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৮ সালের একুশে বইমেলায় ‘বলয় ভাঙার গল্প’ নামে প্রথম গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। শিশুদের পাঠ্যপুস্তকের অতিরিক্ত চাপ নিয়ে লেখা কলাম ‘আমাকে একটু ভালোবেসে পড়াও’ এর জন্য দৈনিক ইত্তেফাক দ্বারা তিনি পুরস্কৃত হন। ২০২০ সালে শিশু-কিশোরদের মানবীয় গুণাবলী বিকাশের জন্য তার লেখা ছয় খন্ডের ‘আমি হতে চাই’ সিরিজ প্রকাশিত হয়। বইগুলো সরাসরি উপদেশ মূলক নয়। বইয়ের গল্পগুলো শিশুদের আনন্দ দিবে সাথে শিক্ষণীয় কিছু মেসেজও পাবে। গল্পগুলো শিশুদের সত্যবাদিতা, পরোপকারিতা, উদারতা, সহনশীলতা, পরিচ্ছন্নতা, কৃতজ্ঞতাবোধ ইত্যাদি মানবিক গুণাবলি শিখতে উৎসাহিত করবে এবং শিশুদের মানবিক বোধ সম্পন্ন আলোকিত মানুষ হতে সাহায্য করবে।