আমরা ভাওয়াল রাজা বলতে রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরীকে আর রানী বলতে রানী বিলাসমনি দেবীকে বুঝি। আমার পূর্ব পুরুষ এই ভাওয়াল রাজার প্রজা হিসেবে খাজনা দিতেন। অনেকেই তাদেরকে মনে করে ভাওয়াল রাজার চমকপ্রদ উপাখ্যানের রাজা-রানী। আসলে তাদের মেজোপুত্র রমেন্দ্রকুমার আর তার স্ত্রী বিভাবতীর কাহিনি এটি। যে রাজা মারা যাবার বারো বছর পরে আবার সন্ন্যাসী বেশে ফিরে এসেছিল। যতবার রাজবাড়ির সামনে গিয়েছি ততবার রানীর বিষ খাওয়ায়ে রাজাকে মেরে ফেলার এবং বেঁচে ফিরে আসার কাহিনি মনে পড়েছে। তাই এই চমকপ্রদ কাহিনিকে আমি আমার নিজের কাহিনি ঠিক রেখে ‘মেজোকুমার : এক সন্ন্যাসী রাজা’ উপন্যাসটি লিখি। এখানে রাজা রামেন্দ্র কুমারের ভালোলাগা, কষ্ট, মৃত্যুর বারো বছর পরে সন্নাসী হয়ে বেঁচে ফিরে আসা, নিজের পরিচয় ফিরে পাওয়ার জন্য আইনি লড়াইয়ের টানাপোড়ন, রানী বিভাবতীর সুখ-দুঃখের কথা, রানীর ভাই সতেন্দ্রনাথ ব্যানার্জীর চক্রান্তের কথা, ডাক্তার আশুতোষ সেনগুপ্তের রহস্যময় আচরণ সবকিছু উঠে এসেছে গল্পের প্রয়োজনে। গল্পে গল্পে ইতিহাস উঠে এসেছে এই উপন্যাসে। যারা আমার এই উপন্যাসটি পড়বে তারা অন্তত ভাওয়াল উপাখ্যানের অনেক বিষয় জানতে পারবে বলে আমি মনে করি।
হাড় ভাঙা জোড়া দেয়ার পাশাপাশি লেখালেখির চর্চা চলছে সমান্তরালে | অসীম হিমেল পেশায় একজন অর্থোপেডিক সার্জন হিসাবে নিয়োজিত থাকলেও সাহিত্যের পাতায় লিখে যাচ্ছেন গল্প, উপন্যাস। মধ্যরাতের অভিযান নামক কিশোর উপন্যাস দিয়ে যাত্রা শুরু করে একে একে লিখেছেন জোছনায় নীল আকাশ , খেদুমিয়া , ভাওয়াল উপাখ্যান মেজোকুমার এক সন্ন্যাসী রাজা ,দূরবীনে ব্যাকবেঞ্চার ও ধুম্রজালে খেদুমিয়া। প্রতিটি গল্প, উপন্যাস পেয়েছে পাঠকপ্রিয়তা। বর্তমানে জাতীয় অর্থোপেডিক ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর), পঙ্গু হাসপাতালে কনসালটেন্ট হিসাবে কর্মরত।