সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে স্বার্থের জন্য মানবজাতি একে অন্যের সাথে যুদ্ধ করে আসছে । তারা তখন পাথর দিয়ে , কিংবা লাঠি দিয়ে সে যুদ্ধ করত । যতই দিন যায় , এ যুদ্ধ জয়ের জন্য মানুষ উন্নত ধরনের মারনাস্ত্র তৈরিতে মনোনিবেশ করে । এক সময় তারা আরো বেশি মারাত্মক ধরনের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে । এ সাথে তৈরি করে বিভিন্ন ধরনের মিসাইল । যেমন , রাডার গাইডেড মিসাইল , ইনফ্রারেড গাইডেড মিসাইল , ক্রুজ মিসাইল , বেলিষ্টিক মিসাইল । পৃথিবীতে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ । সে মানুষেরা চাইলে কী না করতে পারে ? আমরা জানি , তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ বেশ কয়েকটি রশ্মি নিয়ে গঠিত । এগুলো হল রেডিওওয়েব , মাইক্রোওয়েব , ইনফ্যারেড - রে , দৃশ্যমান বা ভিজিবল - রে , আলট্রাভায়োলেট - রে , এক্সরে এবং গামা - রে । এ রশ্মি ব্যবহার করে মানুষ অনেক উন্নত যন্ত্রপাতি তৈরি করেছে যা মানব কল্যাণে ব্যবহৃত হচ্ছে । যেমন : এক্স - রে মেশিন , টিভি , সেল ফোন ইত্যাদি । অথচ সেই মানুষই তাদের প্রতিপক্ষকে মারার জন্য এ একই রশ্মি ব্যবহার করে অত্যাধুনিক এবং মারাত্মক বিধ্বংসী অস্ত্র তৈরি করে আসছে । এ অস্ত্রের মধ্যে আছে উল্লেখিত বিভিন্ন ধরনের মিসাইল , বিভিন্ন ধরনের গাইডেড বোমা , বিভিন্ন ধরনের নেভিগেশনাল পদ্ধতি , যা বিধ্বংসী অস্ত্রকে অনেক দূরে গাইড করে নিয়ে সেখানকার সমস্ত লক্ষ্যবস্তুকে সুনিপুন নিশানার মাধ্যমে ধ্বংস করে দেয় । এদেরকে অন্য কথায় স্মার্ট যুদ্ধোপকরণও ( Smart Weapon ) বলা হয় । এখন প্রশ্ন হল , কিভাবে এ রশ্মি প্রযুক্তিগতভাবে কাজে লাগিয়ে মানুষ এ ধরনের অস্ত্র তৈরি করছে ? এ বইতে তা নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে ।