ইসলামপূর্ব যুগে ইতিহাসের দুর্ধর্ষ জাতির মধ্যে আরবরা ছিল অন্যতম। নৃশংসতা, রক্তপাত, চৌর্যবৃত্তি, ব্যভিচারসহ নানা অপকর্ম ছিল তাদের নিত্য সঙ্গী। সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য আল্লাহতায়ালা তাদের মধ্যে একজন রাসূল প্রেরণ করেন। তার ওপর নাজিল করেন আল কোরআন। আল কোরআনে প্রথম যে শব্দটি দিয়ে শুরু হল তা হল, পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। নবী করিম (সা.)-এর আহ্বানে অনেকেই তা পড়া শুরু করে। ফলে তাদের চিন্তা-চেতনায় ব্যাপক পরিবর্তন আসে। জাগ্রত হয় নীতি নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ। প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি ও অমানবিক মূল্যবোধের ওপর আসে তীব্র বিতৃষ্ণা। সমাজ থেকে ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকে নানা অপকর্ম। পরিবর্তিত হতে থাকে সমাজিক দৃশ্যপট। যারা অন্যের সম্পদ লুণ্ঠন করত তারাই হয়ে যায় অন্যের সম্পদের পাহারাদার। জাহেলি যুগের মানুষের হাতেই শুরু হয় সোনালি যুগের প্রারম্ভ। কেন এমন হল? তা হল কোরআন অধ্যয়ন ও তা মানার জন্য। এটাই বাস্তবতা। রাসূলের ওপর আল কোরআন নাজিল করা হয়েছে মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে আনার জন্য। আল্লাহতায়ালা বলেন, আলিফ-লাম-রা; এই কিতাব, যা আমি তোমার প্রতি নাজিল করেছি, যাতে তুমি মানুষকে তাদের রবের নির্দেশক্রমে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করে আন, পরাক্রমশালী সর্ব প্রশংসিতের পথের দিকে। (সূরা ইবরাহিম-১৪)।