বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ছিল। তাঁর দর্শনের প্রধান কথা মানবতাবাদ, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা, মানুষের সার্বিক মুক্তি। তাদের প্রাপ্য যেন তাদেরই হয় সেটাই প্রতিষ্ঠা করা। সে বাংলার মানুষই হোক আর অন্য যে কোনো দেশের মানুষই হোক। পৃথিবীর সকল নির্যাতিত নিপীড়িত অধিকারবঞ্চিত মানুষের প্রতি ছিল তাঁর গভীর সমবেদনা। অসাধারণ ভাষণ দিতেন তিনি। ভাষণ ছিল তাঁর রাজনৈতিক জীবনের অন্যতম শক্তি। জলদগম্ভীর কন্ঠস্বর ছিল তাঁর। ছিল বাংলার মানুষের প্রতি ভালোবাসা। সেই ভালোবাসাকে সম্বল করে তিনি একটির পর একটি ভাষণ দিয়ে গেছেন। আর তাঁর প্রতিটি ভাষণে ফুটে উঠেছে মানবতাবাদ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন। আমরা যদি বঙ্গবন্ধুর ভাষণগুলো বিশ্লেষণ করি তাহলে একথা যথার্থ বলে প্রতীয়মান হবে। সারাজীবন অসংখ্য ভাষণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। বড় জনসভা থেকে শুরু করে অসংখ্য ছোটসভা, পথসভা, এমনকি উঠোন বৈঠকেও ভাষণ দিয়েছেন। সেই ভাষণগুলোর মধ্য থেকে কিছু নির্বাচিত ভাষণ আলোচনা করলেই আমরা বুঝতে পারব মানবতাবোধ প্রতিষ্ঠা করতে তিনি কতটা অনড় ছিলেন। মানবতাবোধ মানে মানবতা, গণতন্ত্র, কথা বলার অধিকার, মতপ্রকাশের অধিকার, নিজের ইচ্ছেমতো চলার অধিকার। অর্থাৎ বাঙালির সার্র্বিক মুক্তি।
লেখক, সম্পাদক, গবেষক, নাট্যকার, অবসরপ্রাপ্তযুগ্মসচিব। জন্ম ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৭, সাঈফ ভীলা, নড়াইল। পিতা:একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষাসৈনিক মরহুম আফসার উদ্দিন আহমেদ এডভোকেট, মাতা: সমাজকর্মী ও রাজনীতিক মরহুম বেগম মতিয়া আহমেদ। স্বামী: বিজ্ঞান ও মহাকাশবিষয়ক লেখক ও সাবেক যুগ্মসচিব মরহুম লতিফুর রহমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার্স ও এলএলবি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘জহির রায়হানের চলচ্চিত্রে মানুষের অধিকার সচেতনতা ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ বিষয়ক অভিসন্দর্ভের জন্য পিএইচডি। লেখক জীবন পাঁচ দশকের অধিক সময়ের। প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা- ১২৭টি। সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণে অবদান রাখায় রাষ্ট্রীয় বেগম রোকেয়া পদক, Inspiring Woman Award, অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কাসহ দেশ-বিদেশের ৩০টির বেশি পুরস্কার/ সম্মাননা পেয়েছেন। রক্তবীজ ওয়েব পোর্টালের প্রকাশক ও সম্পাদক।