বোধ ও আত্মোপলব্ধির সাথে ভাবের স্বতঃস্ফ‚র্ত প্রকাশের প্রবহমানতা হলো কবিতা। কবি মোস্তাফিজার রহমান তার কবিতায় জীবনকে সামাজিক ও ব্যক্তিভাবনার কেন্দ্র থেকে দেখেছেন। নিঃসন্দেহে বলা যায় তিনি এ সময়ের একজন সাহসী কবি। আধুনিক চলের কবিতার কাঠামোকে তিনি ভাঙতে চেয়েছেন। তার রচিত গদ্যধারার কবিতায় রয়েছে আত্মানুসন্ধান, রয়েছে স্বদেশ ভাবনা, রয়েছে প্রেম, প্রকৃতি ও খানিক অভিমান মিশ্রিত বেদনা। সাধারণত কবিতার চরিত্রসমূহ কখনো মূর্ত এবং কখনো বিমূর্ত হয়। তার কাব্যের সাবলীল পঙ্ক্তিগুলোও পাঠকের কাছে অনুরূপ মূর্ত ও বিমূর্ত সময়ের প্রতিফল বলে প্রতিভাত হয়। তবে তার কাব্যের ক্যানভাস যেন সব সময়ই চরম বাস্তবতার কথা বলে। তার কবিতা পাঠ করে এ কথা অবাধে অনুধাবন করা যায় যে তিনি একজন সচেতন নাগরিক কবি। কবিতায় তিনি বস্তুনিষ্ঠভাবে চলমান জীবনকে ধরতে চেয়েছেন। তিনি কখনো অতীত থেকে সার্থকভাবে অমৃত রস নিংড়ে বের করেছেন আবার কখনো অতীতের দিকে তাকিয়ে দক্ষতার সাথে ভবিষ্যতের বন্দনা করেছেন। এককথায় ভাব-বিভাব, অনুভব, ধ্বনি-মাধুর্য, রস, প্রকরণ ইত্যাদি উপযোগিতা বিবেচনায় তার কবিতা সময়ের অনন্য চিহ্ন, যা চিন্তাশীল পাঠক ও গবেষকদের আকৃষ্ট করবে।