প্রথম ফ্ল্যাপের আমার কিছু কথাঃ পৃথিবীর সব মানুষের কাছে এক অপরিচিত রোগের নাম করোনা, আতঙ্কের নাম করোনা। বিশ্বব্যাপি করোনায় আমরা হারিয়েছি দেশবরেণ্য অনেক শুনীজনকে, করোনা কাছের মানুষকে পর করেছিল, পর কে করেছিল আপন, অতিমারী করোনা মহামারী আকারে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পরে, তার ভয়ালগ্রাস থেকে আমাদের দেশ, আমাদের দেশের মানুষও রক্ষা পায়নি, সবার মনে এক অজানা আতঙ্ক বাসা বেঁধেছিল, এরোগ হলে মৃত্যু অবধারিত। গর্ভধারনী মাকে জঙ্গলে ফেলে আসতেও মানুষ দিধা করেনি, স্বামীকে রেখে স্ত্রী, স্ত্রীকে রেখে স্বামী পালিয়ে বেড়িয়েছে, সংসারের চেয়ে বেঁচে থাকা যেন মুখ্য হয়ে ছিল। সাধারণ হাঁচি কাশিতেও মানুষ আতঁকে উঠতো। করোনা, সেলফ করেনটাইন, হোম করেনটাইন, আইসোলেশন, সোশ্যাল ডিসট্যানস, কত শত নতুন শব্দ যুক্ত হয়েছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে, এত কিছুর মাঝেও মার্ক্স নিয়ে দুর্নীতি, পরীক্ষা নিয়ে নয়, ছয়। অভাবী মানুষের খাবার নিয়ে কিছু অসাধু জন প্রতিনিধির দুর্নীতি স্বয়ং সরকার প্রধানের মনেও আঘাত লেগেছিল। এক সিলিন্ডার অক্সিজেনের জন্য রোগীর কি হাহাকার! একটি আইসিইউ'র জন্য রোগীর স্বজনদের এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে কি নিদারুণ ছোটাছুটি। সব কিছু ছাপিয়ে কিছু মানবিক মানুষের মানবতার উদাহরণ মানুষকে বেঁচে থাকার প্রেরণা জুগিয়েছে। মানবিক ডাক্তার, নার্স, টেকনোলজিষ্ট, আর্মি, পুলিশের ভূমিকা জাতি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে চিরদিন। করোনা আমাদের কাছ থেকে যাদের কেড়ে নিয়েছে সেই বেদনার ক্ষত সারা জীবন কাউকে কাউকে বহন করতে হবে, সেই বেদনা বিধূর স্মৃতির মর্মস্পর্শী সত্য ঘটনা নিয়ে বই, ‘মুখোশ বন্দী জীবন'। আশাকরি পাঠকদের মনে একটু হলেও নাড়া দেবে। লেখক নিরন্তর শুভকামনা রইলো।