‘পেন্ডুলাম’ উপন্যাসটি লেখিকা নাঈমা সারমীনের প্রথম বই। এটি একটি সময়ের চিত্র। লেখিকা পুরো বিশ্ব থেকে শুরু করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটকে প্রাধান্য দিয়ে বিগত দেড় বছরের প্যান্ডামিক সময়টিকে ক্ষুদ্র পরিসরে ধারণ করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। বিশ্ব এখনো কোভিড-১৯ মুক্ত হতে পারেনি। করোনা আসছে নতুন রূপে, নতুন শক্তিতে। এই প্যান্ডামিক সময়ের মধ্যেই এই সময়টিকে বড় ক্যানভাসে তুলে ধরার প্রচেষ্টা এই প্রথম, যা লেখিকার সুগভীর চিন্তাশক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র সচেতনতার পরিচয় দেয়। এটি মূলত বহুল চরিত্রের সমন্বয়ে চরিত্রগুলোর ব্যক্তিগত, মানসিক, অর্থনৈতিক টানাপড়েন নিয়ে লিখিত একটি উপন্যাস হলেও এটি পড়লে আমাদের দেশের করোনা মহামারির প্রকোপের একদম শুরু থেকে বিগত দেড়টি বছরের ইতিহাস, খুঁটিনাটি চিত্র পুরোটাই দৃশ্যমান হবে। ‘পেন্ডুলাম’ বইটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে লেখিকার একটি নিবেদন। চলমান প্যান্ডামিক সময়ে যারা এখনো যুদ্ধ করে যাচ্ছেন তাদের যেমন উপন্যাসটি সাহস জোগাবে তেমনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও এটি একটি দলিল হিসেবে রয়ে যাবে। যেহেতু ‘পেন্ডুলাম’ উপন্যাসটি করোনা মহামারি নিয়ে লেখা কাজেই আশা করা যায় বইটির আবেদন রয়ে যাবে যুগের পর যুগ! লেখিকার কঠিন অধ্যবসায় ও নিরলস প্রচেষ্টা সাধুবাদ প্রাপ্য। বইটি একদিকে যেমন বহুল পঠিত হওয়া প্রয়োজন তেমনি জাতীয় পর্যায়েও ‘পেন্ডুলাম’ উপন্যাসটির পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। কারণ এ বইটিতে প্রথম দিকে বাংলাদেশের করোনার প্রকোপ তার প্রেক্ষাপট নিয়ে উপন্যাস আকারে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমি লেখিকা নাঈমা সারমীন ও বাঙালি জাতির উদ্দেশ্যে তার ক্ষুদ্র নিবেদন ‘পেন্ডুলাম’-এর সাফল্য কামনা করছি। মুহম্মদ নূরুল হুদা মহাপরিচালক বাংলা একাডেমি