সমকালীন কথনমালায় নতুন সংযোজন ‘অর্বাচীনের আহ্নিক’। এই নামের বিভিন্নরকম অর্থ দাঁড়ায়। পাঠক নিজস্ব ভাবনায় অর্থ ধরে নিতে পারেন। সেই ভাবনায় আপনারা মুক্ত। গল্পকথক হিসেবে আমার আগ্রহ শুধু গল্প বলাতে। ‘অর্বাচীনের আহ্নিক’-এ আমি একটি পূর্ণাঙ্গ গল্প বলতে চেয়েছি। গল্প মূলত একটি, এর শাখা-প্রশাখা অসংখ্য। গল্পটি সময়ের, এই শহরের, শহরে বেঁচে থাকা মানুষের, এই জনপদের, পরিবর্তিত এই নগর-সংস্কৃতির, এই জাতির ধর্মান্ধ হয়ে ওঠার। গল্পগুলো কখনো গল্প, কখনো কান্না, কখনো আহাজারি, কখনো কষ্ট, কখনো হতাশা, কখনো আবার সুবোধ ফিরিয়ে আনার কথন। গল্পগুলো পরিচিত। কিন্তু ভাবনাগুলো অপরিচিত। চিরচেনা এই দেশের অচেনা-অজানা সংকট-সমস্যার গল্প। আমি সবসময় আয়েশি ঢঙে গল্প বলি। এইখানেও তার প্রভাব প্রবল। গল্পের ভাষা সরল এবং সাবলীল। ‘এই শহর সুবোধদের’, ‘আরোপিত এই নগরে’-র পর এটি তৃতীয় সিরিজ। ‘অর্বাচীনের আহ্নিক’ পড়া শুরু করলে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি মিলবে নিশ্চিত। ‘এই শহর সুবোধদের’, ‘আরোপিত এই নগরে’ পাঠক সাদরে গ্রহণ করেছেন। তাই আবারও লিখতে উৎসাহিত হয়েছি। প্রতিবারের মতো এইবারও যা করেছি তা হলো, পাঠকের বোধের দরজায় সজোরে ধাক্কা দিয়েছি। কাজটা করেছি সচেতনভাবে। যাতে মুক্তমত, মুক্তচিন্তা, মুক্তবুদ্ধি বিকশিত হয়। সুবোধ জেগে ওঠে।
বিনয় দত্ত জন্ম: ২০ ফেব্রুয়ারি। নন্দনকানন, চট্টগ্রাম। বাবা অনিমেষ চন্দ্র দত্ত ও মা মিনু দাশ। শিক্ষা: স্নাতকোত্তর, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা। লেখালেখির সূত্রপাত ছেলেবেলাতেই। লেখালেখি: গল্প, কবিতা, উপন্যাস, নাটক, চিত্রনাট্য, মুক্তগদ্য। সমসাময়িক বিষয়ে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে লেখালেখি করেন। গল্পগ্রন্থ: ‘চিলতে মেঘ ও কুহুকেকার গল্প’, [চৈতন্য, ২০১৭] উপন্যাস: ‘অমৃতায়ন’, [পুথিনিলয়, ২০১৮] সমকালীন কথনমালা: ‘এই শহর সুবোধদের’, [পুথিনিলয়, ২০১৯] সমকালীন কথনমালা: ‘আরোপিত এই নগরে’, [পুথিনিলয়, ২০২০] পেশা: গবেষণা ও সাংবাদিকতা। পরিচয়: সহজ গল্পের ফেরিওয়ালা। স্বীকৃতি: ‘দিগন্তধারা সাহিত্য পুরস্কার ২০১৮’ “অমৃতায়ন” উপন্যাসের জন্য। ‘আবুল মনসুর আহমদ প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা পুরস্কার ২০২০’এ প্রথম স্থান অর্জন